বরিশালে সাংবাদিক শাকিব বিপ্লবের ওপর সন্ত্রাসী হামলা : অত:পর ব্লাকমেইল

শেয়ার করুনঃ

আহমেদ জালাল : বরিশালের ক্ষুরধার লেখনী শক্তিধর এক কলমযোদ্ধা সাংবাদিক শাকিব বিপ্লব। তিনি প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে মানুষকে সমাজ সচেতনতায় অনুপ্রাণিত করে চলছেন। যার কলম অত্যাচারী শাসক শোষক নামক ভণ্ডদের অস্ত্রের চেয়ে বেশি শক্তিমান। তাঁর লিখনীতে ফুটে ওঠে শোষিত নীপিড়িত মানুষের চাওয়া-পাওয়া। তিনি ক্ষুরধার লিখনীর মাধ্যমে অন্যায়, জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছেন ; যা অশুভ শক্তির অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বজ্রের ন্যায় কঠিন, ‘হিরার’ চেয়ে ধারালো।

সিনিয়র সাংবাদিক শাকিব বিপ্লবের ওপর সন্ত্রাসী হামলা কেন? কারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে অশুভ শক্তির দাপট প্রদর্শনে জনমনে ভীতিকর ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার পায়ঁতারায় মত্ত থেকে নানা কিসিমের ফাঁয়দা লোটার ধান্ধায় মরিয়া? হামলাকারী টোকাইদের কারা লেলিয়ে দিয়েছে? গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষে কে বা কারা তাকে ওই দিন পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা ও ব্লাকমেইলের ঘটনাস্থলে নিয়েছে। এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সাংবাদিক শাকিব বিপ্লবকে পুকুরে চুবিয়ে হত্যাচেষ্টায় কে বা কারা নেপথ্যে থেকে টোকাইদের দিয়ে এক ভয়ানক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলছে? সভ্য সমাজের বিপরীতে এক অসভ্য সমাজের উন্মুক্ততার মত্ততে যুক্ত থাকাটা কতোটা সমাজ, গণমাধ্যম, রাষ্ট্র সর্বোপরি জনগাষ্ঠির জন্য হুমকিস্বরূপ? বরিশাল মিডিয়ায় চরম এই অসভ্য কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হোক। লাগাম টেনে ধরা হোক অসভ্যদের। চিরতরে নিপাত যাক বরিশাল মিডিয়ার পরিবেশ বিনষ্টকারীরা। এহেন অসভ্যরা যত বড় শক্তিধরই হোক না কেন বাংলার মাটিতেই এদের পতনের ঘণ্টা বেজে উঠবেই।

প্রসঙ্গত : সন্ত্রাস প্রকৃতির কয়েক জন তাকে পুর্বপরিকল্পিতভাবে গত ১১ অক্টোবর রাতের আধাঁরে বরিশাল নগরীর বিবিরপুকুরে ফেলে হত্যাচেষ্টা চালায়। এমনকি হত্যা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্ল্যাকমেইলের অপচেষ্টা করে। এরপর পানি থেকে ওঠার সময় একটি ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার মতো চরম ঘৃনিত অপরাধ করে সংঘবদ্ধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডসহ কিলিং মিশনে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো চক্রটি।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা প্রধান, রণাঙ্গণের মুখপত্র ‌’ দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ।’