অনলাইন ডেস্ক :: ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় পরিবারের সবাইকে দইয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জাকারিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
ওই কিশোরী এ বছর এসএসসি পাস করেছে। তার মা মারা যাওয়ার পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় চলে যাওয়ায় সে নানার বাড়িতে থাকে। অভিযুক্ত জাকারিয়া চর হাসাদিয়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে।
গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চর হাসাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে জাকারিয়া চারটি দই নিয়ে ওই বাড়িতে আসে। জাকারিয়া চেতনানাশক ওষুধ মিশ্রিত দই ওই কিশোরীর নানি, ওই কিশোরী ও তার ছোট বোনকে খেতে দেন। দই খাওয়ার পর একে একে সবাই অচেতন হতে থাকে। এই সুযোগে জাকারিয়া ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, অচেতন হওয়ার আগে ওই কিশোরী জাকারিয়াকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখেছে। এরপর অচেতন হয়ে গেলে তার সঙ্গে কি ঘটেছে তা তার মনে নেই।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুশফিকুর রহমান বলেন, ওই কিশোরী বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পরিবার এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। তবে আমরা অভিযোগ নেয়ার চেষ্টা করছি। এ ঘটনার পর থেকে জাকারিয়া পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
