যুবদলের সভায় পুলিশের বাধা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে যুবদলের সাংগঠনিক সভা। এ নিয়ে যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার আলীয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন সিদ্দিকী ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলা যুবদলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সভা ডাকা হয়। এ সভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে যুবদলের কুমিল্লা অঞ্চলের সাংগঠনিক টিমের দায়িত্বে থাকা জাকির হোসেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ঢাকা থেকে একটি টিম আসে। কিন্তু অনুমতি না নেয়ার অজুহাতে নবীনগর থানা পুলিশ সভা করতে বাধা দেয়। পরবর্তীতে বিকেলে উপজেলার আলীয়াবাদ গ্রামে বিএনপি নেতা মদন মিয়া ওরফে মদন মেম্বারের বাড়িতে সভায় বসেন যুবদল নেতাকর্মীরা।

খবর পেয়ে পুলিশ মদন মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে সভায় বাধা দিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে যুবদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় যুবদল নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনয় যুবদলের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সাংগঠনিক সভা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের বাধায় করতে পারিনি। বিকেলে আমাদের এক নেতার বাসায় বসে প্রার্থীদের তালিক তৈরি করার সময় পুলিশ এসে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমাদের ঢাকা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ ও আমাদের জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দরা আহত হন।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন বলেন, গোপনে এক বাড়িতে তারা (যুবদল নেতাকর্মী) বসেছিল। পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে যায়। পুলিশ দেখেই তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখান থেকে চলে যায়।