চরফ্যাশনের দলনেত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা!

শেয়ার করুনঃ

এম নোমান চৌধুরী, চরফ্যাশন :: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার তৎকালিন কর্মরত বর্তমানে বরিশালের মুলাদীর আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আবু বক্করপুর ইউনিয়ন দলনেত্রী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। সোমবার তিনি উপ-পরিচালক বরিশাল রেঞ্জ বরাবর বিচার দাবী করে লিখিত অভিযাগ করেছেন। অনুলিপিও বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তৎকালীন চরফ্যাশনে কর্মরত মোঃ মিজানুর রহমান ও টিআই ফরিদা বেগম চরফ্যাশন উপজেলায় থাকা কালীন ১৭অক্টোবর/১৭ তারিখে তারিখে টিয়াই ফরিদা বেগম ও কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আমার বাসায় যায়। যাওয়ার পর ফরিদা এবং মিজানুর রহমান রাত্রে আমার বাসায় অবস্থান নেয়। রাত্রে ৮.১৫ মিনিটে সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। বাড়ির লোকজন দেখে চিৎকার করে সবাইকে ডাকেন। তারপর আমার বাসায় বিচার হয়। চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদার শালিশ বৈঠকের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১নং আসামী অপর্কমের ফসল হিসাবে আমাকে এলাকা থেকে ঘর বাড়ী ভেঙ্গে বাপের বাড়ীতে অবস্থান করতে সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে স্ট্যাম্পে চুক্তিনামার মোচলেখা দিয়ে আমি বাপের বাড়ীতে চলে আসি। আমার স্বামী সিরাজ বিদেশ থেকে ফোনে আমাকে মৌখিক ভাবে ডির্পোস দেয়। পরে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আমাকে বলে তুমি কাউকে কিছু বলবেনা আমি তোমাকে ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক মৌখিক ভাবে বিয়ে করেছি। আমি সহজ সরল বিধায় বিষয়টি বুঝে উঠতে পারি নাই।

কাবিননামার কথা বললে তিনি জানান, আমি চেয়ারম্যান মহোদয়সহ স্থানীয়দেরকে আমার তিন লক্ষ টাকা দিয়েছি। আমার হাতে টাকা হলে কাবিনামা দিব। এখন আমাকে সে চরফ্যাশন সব জায়গায় স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়েছে। বিষয়টি আনসার ভি.ডি.পি অফিসসহ স্থানীয় সকলে জানেন। চরফ্যাশন থাকাকালীণ আমার সকল বরণ পোষন দিয়েছেন। তার সাথে আমার রিলেশন ২০১৬ সাল ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ইং সাল পর্যন্ত চরফ্যাশন আনসার ভি.ডি.পি থাকালীন আমাকে স্ত্রীর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন। ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ইং তারিখে আমাকে নিয়েছেন ডাক্তার দেখিয়েছেন। সে আমাকে সব জায়গায় স্ত্রী হিসেবে চলাফেলা করিতেন বরিশাল হোটেলে রাত্রী যাপন করেছেন। ওখানে আমাকে সার্জারী ডাক্তার শাহিন স্যারকে দেখিয়েছেন। বরিশাল (নাম জানিনা) এমন একটি চার তলার হোটেলের পৃথক পৃথক ভাবে আমাকে নিয়ে ৫০২ আর ৩৫০ নম্বর রুমে রেখেছে। ওখানে রেজিষ্টারে আমাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নাম লেখাইয়াছেন। মিজানুর রহমান আমার কাছ থেকে দৌঁলতখানে নিজের বসত ঘর করার জন্য ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমাকে বলেছে আমার বাড়ির ঘর করা শেষ হলে তোমাকে আমি কাবিন করে রাখবো। আমার সাথে চরফ্যাশন থেকে যাওয়ার পরে মুলাদি উপজেলায় আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। তখন আমার সাথে কথা বলত সারা দিন রাত প্রত্যেক দিন আমার সাথে ৩০০ মিনিট বা ৫০০ মিনিট টাকা ঢুকিয়ে মোবাইলে কথা বলত। তারপর ও তার কথা শেষ হতনা। দল নেতাদের ও ডিউটিতে নুরাবাদ ও আহম্মদপুর ইউনিয়ন ২০২০ জুন মাসে নির্বাচন টাকা দেয়। তখন তিনি চরফ্যাশন আসেন। আমি আমার কৌশল করে কথা বলে প্রায় ৫০ টির মত রেকর্ড রাখছি। ওই রেকর্ডে বলেছেন। সে আমাকে বলেছে বুক দিবে পিট দিবেনা।

আগষ্ট ২০২০ মাসে আমাকে ডাক্তার দেখার জন্য ১০০০ (এক হাজার) টাকা দিয়েছে। মুলাদি থেকে এরপর থেকে আমাকে বলে আমি তোমার বরণ পোষন চালান সম্ভব না। আমি তখন বলছি কি বল? তোমার জন্য আমার সবশেষ। আমি আমার দুইটি ছেলে মেয়ে নিয়ে কোথায় থাকব জবাবে তখন বলে আমিও সমস্যায় আছি। ঢাকায় বদলী হওয়ার পর তোমাকে কাবিন করব এক এবং সংসার করব। আমার সাথে মিজানুর রহমানের সাথে সকল বিষয় সম্পর্ক গড়ানোর ব্যপারে ফরিদা বেগম সহাযোগিতা করেছেন।

বর্তমানে আমি খুবই অসহায় আমাকে বিয়ের কথা বলে কাবিন না করে প্রতারণ করেন। স্বামী স্ত্রীর ন্যায় বসবাস করে আমাকে ব্যবহার করেছেন। এলাকায় আমার সব মান ইজ্জত নষ্ট করেছেন। আমার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমি এর বিচার দাবী করি।

এই ব্যপারে বরিশাল মুলাদী উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমাপনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যপারে ততকালিন চরফ্যাশন বর্তমানে দৌলতখাঁন উপজেলা আনসার ভিডিপির টিআই ফরিদা বেগম বলেন, আমি এই ব্যপারে কিছু জানিনা।