ভোলায় এক ব্যক্তির জন্য প্রশস্ত করা যাচ্ছে না মহাসড়ক!

শেয়ার করুনঃ

ভোলা প্রতিনিধি :: গাছ নিয়ে দ্বন্দ্বে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়ক ৩০ ফুট প্রশস্তকরণ কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি এনজিওকর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রায় শত কোটি টাকার ওই কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ করার কথা। ছয় মাস আগে কার্যাদেশ পাওয়া ওয়াইস্টার ট্রেডিং অ্যান্ড রানা বিল্ডার্স জেবি গতকাল সোমবার ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কাজ শুরু করতে গিয়ে ফের বাঁধার মুখে পড়ে।

ভোলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ইলিশা ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের গাছের মালিকানা নিশ্চিত না হতে গাছ অপসারণে বাঁধা সৃষ্টি করছে স্থানীয় এনজিওকর্মীরা। সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম জানান, ১৮ ফুট প্রশস্ত রাস্তা ৩০ ফুটে উত্তীর্ণ করা হবে।

এজন্য ভেদুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ইলিশা ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ থেকে গাছ অপসারণ করার জন্য বন বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে বন বিভাগ গাছ চিহ্নিত করে অপসারণে টেন্ডার আহ্বান করে। তিন মাস আগে কার্যাদেশ পেয়ে ৫২ লট গাছ অপসারণ করতে শুরু করেন ঠিকাদার গালিব ইবনে ফেরদৌস। এ সময় সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি এনজিও গাছ কাটতে বাধা দেয়।

ওই সংস্থার প্রধান মো. জাকির হোসেন জানান, ২০১২ সালে তারাই রাস্তার পাশে গাছ লাগিয়েছিল। গাছের মালিক তারা। অপরদিকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. তৌহিদুর রহমান জানান, ২০১০ সালে সড়ক বিভাগের অনুমতিতে সবুজ বেস্টনি প্রকল্পের অধীন বন বিভাগ এইসব গাছ লাগায়। ফলে গাছ কেটে নেয়ার এখতিয়ার তাদের।

সমাজ উন্নয়ন সংস্থার দাবি অযৌক্তিক বলে জানান উপজেলা রেঞ্জ অফিসার মো. কামরুল ইসলাম। ফলে এমন বিরোধে একদিকে থমকে গেছে সড়ক উন্নয়ন কাজ। অপরদিকে রাস্তার পাশের কয়েক হাজার গাছের মালিকানা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

ভোলার নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, নাগরিক কমিটির সহসভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর দুলাল চন্দ্র ঘোষ জানান, উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে গাছ অপসারণ জরুরি। একইসঙ্গে গাছ বিক্রির টাকা সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো দপ্তরে গচ্ছিত রাখার পরামর্শ দেন নাগরিক কমিটির নেতারা।