বরগুনায় বিদ্যুতের খুঁটি বসানো নিয়ে মা-ছোট ভাই ও তার স্ত্রীকে কোপালো বড় ভাই

শেয়ার করুনঃ

বরগুনা প্রতিনিধি :: বড় ছেলে সিদ্দিকুর রহমানের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়েছে ৮৯ বছরের বৃদ্ধা মা জয়তুন নেছা। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দ্বিতীয় দফায় গতিরোধ করে ছোট ভাই আবুল বাশার ও তার স্ত্রী তানিয়াকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মুসা ও ইমরান।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান সদর ইউনিয়নের মৃত মতিউর রহমান সিকদারের ছেলে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বিদ্যুতের খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে সিদ্দিকুর রহমান ও আবুল বাশারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় বড় ভাই সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইমরান ও মুসা আবুল বাশারকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এসময় অসুস্থ মা জয়তুন নেছা আবুল বাশারকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে দা দিয়ে কোপ দেয় সিদ্দিকুর রহমান। ঘটনার পর মাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে রাস্তায় গতিরোধ করে দ্বিতীয় দফা হামলা চালায় ইমরান, মুসা ও উপজেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী জাকির হোসেনের স্ত্রী সুমনা। সুমনা সিদ্দিকুর রহমানের পাতানো ধর্ম বোন।

আহত আবুল বাশার বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে বাধা দিলে আমার সাথে বড় ভাই সিদ্দিকুরের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের ওপর হামলা চালায় বড়ভাই সিদ্দিক রহমানসহ তার দুই ছেলে ও পাতানো ধর্ম বোন সুমনা। তারা দ্বিতীয় দফায় আমাদের ওপরে হামলা চালানোর সময় আমার বিকাশ এজেন্ট ফোন ও সাথে থাকা বিকাশের আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে কোপ শুরু করে। তখন আমি দৌড়ে পালিয়ে গেলে আমার স্ত্রী তানিয়াকে কুপিয়ে জখম করে।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি হাসপাতালে গিয়ে তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

আহত তানিয়ার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আয়শা সিদ্দিকা। তিনি জানান, তানিয়ার মাথায় ইঞ্জুরি বেশি হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’