ভাবির দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে পুরো পরিবারকে গলাকেটে হত্যা

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থাকছিলেন ভাইয়ের সংসারে। কিন্তু টাকার জন্য ভাইয়ের স্ত্রী প্রায়ই তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে (ভাই-ভাবি ও তাদের দুই সন্তানকে হত্যা করেন রাহানুর)। গত ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঘটে এ ঘটনা।

অভিযুক্ত রাহানুরকে গ্রেফতার করে গত ২২ নভেম্বর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানায় সিআইডি।

রাহানুরের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন তার ভাই শাহিনুর রহমান, শাহিনুরের স্ত্রী সাবিনা খাতুন, মেয়ে তাছনিম ও ছেলে সিয়াম।

এ ঘটনায় সাবিনার মা বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার নেয় সিআইডি।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, অভিযুক্ত রাহানুর নিয়মিত ফেনসিডিল সেবন করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধও খেতেন। ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলেও যেতে হয়েছিল তাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়।

ঘটনার দিন (১৫ অক্টোবর) দুটি কোমল পানীয় কিনে তার মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ভাই, ভাবি ও তাদের দুই সন্তানকে খাওয়ান রাহানুর। ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত পানীয়ের প্রভাবে তারা ঘুমিয়ে পড়লে রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে চাপাতি দিয়ে প্রথমে ভাই এবং পরে একে একে ভাবি ও তাদের দুই সন্তানকে হত্যা করেন তিনি।

সিআইডি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর রাহানুর হত্যার আলামত মুছে ফেলার চেষ্টা চালান। তবে তার সে অপচেষ্টা বিফল হয় এবং সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে এ মামলার সমস্ত রহস্য উদঘাটন করে।

সিআইডি রাহানুরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি এবং রক্তমাখা কাপড় ।