বরিশালে জামায়াতে যোগ না দেয়ায় ব্যাবসায়ীকে হয়রানি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

শেয়ার করুনঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর রুপাতলীতে স্যানিটারী ও টাইলসের দোকান পরিচালনা করেন মো. জসিম খান। সে দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে দোকান পরিচালনা করছিলেন। হঠাৎ জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে যোগদানের প্রস্তাব দেন তার ভাড়া নেয়া দোকান মালিক তানজের আলীর ছেলে আবদুল মান্নান (৬২)। আর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ঘটে বিপত্তি। এরপর থেকে তার দোকানে ঝুলানো হয় তালা ও দেয়া হয় ৩ টি মিথ্যা মামলা।

মো. জসিম খান নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডস্থ রুপাতলী এলাকার মৃত আছমত আলী খানের ছেলে।

মো. জসিম খান অভিযোগ করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে রুপাতলী হাউজিং এর নগর প্লাজায় আবদুল মান্নানের মালিকানাধীন দোকান ভাড়া নেই। তাকে অগ্রিম জামানত হিসেবে ২৯ লক্ষ টাকা জমা দেই। প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা করে ভাড়ার চুক্তিনামায় স্বাক্ষর হয়। চুক্তিপত্রের মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত ছিল। আবদুল মান্নান আমাকে চুক্তির মেয়াদ থাকা অবস্থায় জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের একটি সদস্য ফরম দিয়ে আমাকে ফরম পূরণ করে তাদের দলের সদস্য পদে যোগদানসহ আরো ৫০ জন সদস্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। আমি রাজি না হওয়ার কারনে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। পরে আমি বুঝতে পারি এ দিয়ে আবদুল মান্নান তার স্বার্থ পূরণ করতে চায়। দোকান ঘরের চুক্তির মেয়াদ শেষে আমার অগ্রিম জমাকৃত ২৯ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে তার দোকান ঘরের ভাড়ার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধসহ দোকান ঘর চাই। এ কথা লিখিত এবং মৌখিক ভাবে অবদুল মান্নানকে জানাই। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে গভীর রাতে দোকান তালাবদ্ধ করে রাখে। পরদিন সকালে দোকান খোলার জন্য গিয়ে দেখি দোকানে তালা বঝুলছে। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবহিত করলে কাউন্সিলরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে এসে দোকানে তালা ভেঙ্গে অমাকে দোকান বুঝাইয়া দেন। তার কিছুদিন পরেই বিদ্যুৎ এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় মান্নান।

অপরদিকে আমি বিভিন্ন মহল থেকে এবং ৪টি ব্যাংক থেকে আমার ঘরবাড়ি মর্গেজ রেখে ঋণ এনে করে ব্যবসা চালাচ্ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন যেতে না যেতে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ বরিশাল শাখার কিছু সংখ্যক কেডার বহিনী আমার দোকানে এসে আমাকে গালমন্দ করে। এমনকি আমাকে মারধর করে। আমি নিরুপায় হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ সদর সিরিয়র জজ আদালতে ‌‌‘বাড়ী ভাড়া’ নিয়ন্ত্রক আইনে আদালতে মামলা দায়ের করি। এ ঘটনার তথ্য স্থানীয় সাংবাদিক স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর ভিতর ব্যবসায় অনেক টাকা ক্ষতি হওয়া সত্বেও আদালতের নির্দেশক্রমে নির্দিষ্ট ব্যাংকে নিয়মিত মাসিক ১২ হাজার টাকা করে জমা করেছি। সম্প্রতি দোকান মালিক বিভিন্ন মহল থেকে আমাকে আদালতে মামলা উত্তোলনসহ অগ্রিম জমা ২৯ লক্ষ টাকা পাবোনা বলে হুমকিসহ ৩ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত দোকান মালিক আবদুল মান্নানের মুঠোফোনে কল দিলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে মিথ্যা মামলা ও জাময়াতের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হয়রানি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাঁচতে নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগী ব্যাবসায়ী জসিম খান।