ভারতে বাবরি মসজিদের স্থানে হচ্ছে রাম মন্দির, চাঁদা দিলেন অক্ষয়

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: অযোধ্যার বিখ্যাত মোঘল স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে ১৯৯২ সালে। এরপর এই মসজিদ ইস্যু নিয়ে ভারতে একাধিকবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রাণহানি হয়েছে বহু মানুষের। বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানটিতে একটি রাম মন্দির বানানোর পক্ষেই রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৯ সালের নভম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের বেঞ্চ এক সর্বসম্মত রায়ে বলেছে, অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমি নিয়ে বিতর্ক ছিল বহুকাল ধরে সেখানে রামমন্দিরই হবে। আর মুসলমানদের মসজিদের জন্য ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়।

সে রায় অনুযায়ী বাবরি মসজিদের স্থানে শুরু হয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের কার্যক্রম। চলছে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য চাঁদা সংগ্রহ। প্রথম দিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে তুলে দিয়েছেন পাঁচ লক্ষ টাকা।

এবার মন্দিরের জন্য চাঁদা দিলেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমারও। সোশাল মিডিয়ায় সেকথা জানিয়ে সকলের কাছে আরজি জানালেন নিজেদের সাধ্যমতো অনুদান দেওয়ার। তবে কত টাকা দিয়েছেন তিনি সেটি জানাননি।

সম্প্রতি নিজের টুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন ৫৩ বছর বয়সী এ অভিনেতা। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘খুবই আনন্দের কথা অযোধ্যায় শ্রীরামের মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। এবার আমাদের যোগ দেওয়ার পালা। আমি শুরু করেছি। আশা করি, আপনারাও যোগ দেবেন। জয় সিয়ারাম।’

ভিডিওতে নিজের ছেলেকে রামসেতু নির্মাণের গল্প শোনাতে দেখা যায় অক্ষয়কে।

শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. অনিলকুমার মিশ্র জানিয়ে দিয়েছেন, ১০, ১০০ ও ১০০০ টাকায় চাঁদা দেওয়া যাবে। তবে কেউ চাইলে তারও বেশি দিতে পারেন। ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদে নেওয়া হলেও তার বেশি টাকার ক্ষেত্রে চেক দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। চাঁদা তোলার এই অভিযান চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পাশাপাশি তারকারাও যে চাঁদা দিতে উৎসাহী সেকথা জানিয়েছেন অনিল।

তবে এই ট্রাস্টে সরকারি কোনো তহবিল থেকে অর্থসাহায্য গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। পাশাপাশি বিদেশ থেকে কিংবা কর্পোরেট সংস্থার তরফে চাঁদা দিতে চাইলেও তা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

ইতিমধ্যেই চাঁদা সংগ্রহে বিপুল সাড়া মিলেছে। প্রথম দিনই গুজরাটের হিরে ব্যবসায়ী গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া দিয়েছেন ১১ কোটি টাকা। আরেক হিরে ব্যবসায়ী মহেশ কবুতরওয়ালার অনুদান ৫ কোটি টাকা। ১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন আরও এক ব্যবসায়ী।