কাউনিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের নামে লাখ টাকা হাতাচ্ছে ওরা!

শেয়ার করুনঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর কাউনিয়ায় কয়েকটি সড়কে ট্রাফিক পুলিশের নামে হলুদ অটো থেকে মাসোয়ারা তুলছেন ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র । বছর জুড়ে নিরব চাঁদাবাজি চলছে মরগখোলার পোল, বাসের হাটসহ কয়েকটি সড়কে। আর এই চাঁদাবাজি চালাচ্ছেন তারেক, দুলাল, আসলাম, হায়দার, লাইনম্যান কালমসহ ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। গুঞ্জন রয়েছে বরিশাল নগরীতে বিগত দিনে অবৈধ অটোর বিরুদ্ধে আটক অভিযানের কোনো ছোঁয়া লাগেনা কাউনিয়া সড়কের হলুদ অটোতে। এ জন্য মাসোয়ারার টাকার জহুরার কারন, এমনটাই বলছে অনেকে।

লাকুটিয়া সড়কের অটো ড্রাইভার মোসলেম বলেন, আমি মরগখোলার রাস্তায় অটো চালাই প্রতিমাসে তারেক ভাই দুলাল ভাইর লোককে এক হাজার কখনো পনেরশো টাকা দেই নিশ্চিন্তে অটো চালাই। মোসলেম আরো বলেন গাড়ি পুলিশে ধরলে ভাইদের কল দেই তারা পুলিশকে বললেই ছেড়ে দেয়।

কাউনিয়া পুরান পাড়ার অটো ড্রাইভার সামছু মিয়ার সাথে এ বিষয় কথা হলে বলেন, আমি কাউনিয়া বাসের হাট সড়কে অটো চালাই। এ সড়কে আসলাম, হায়দারের লোক লাইনম্যান কালাম আছে। প্রতি মাসে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এই টাকা কি জন্য দেন? উত্তরে সামছু মিয়া বলেন টাকা না দিলে তো শান্তিতে গাড়ি চালাতে পারমু না, আর তাগো টাকা দেই রাস্তায় পুলিশে ধরলে তাগো কথা কইলেই ছেড়ে দেয়।

বিভিন্ন অটো চালক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত পুলিশের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই সঙ্ঘবদ্ধ চক্র।

অটো থেকে মাসোয়ারার বিষয় কাউনিয়া এলাকার দ্বায়িত্বে থাকা টিআই বিদুৎ বলেন, অটো থেকে কে বা কারা টাকা উঠায় আমার জানা নেই। নগরীর অনেক সড়কে অটোর বিরুদ্ধে আটক অভিযান দেখা গেলেও কাউনিয়ার এই সড়কগুলোতে আটক অভিযান দেখা যায় না কেনো? এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্তা।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়- এই তারেক দুলাল ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নাইমুল হোসেন লিটুর সাইনবোর্ড লাগিয়ে এই অটো থেকে চাঁদাবাজি করছে। যা স্বীকার করেছেন দুলাল, তিনি বলেন আমরা রাজনীতি করি লোকজন চালাতে হয় তাই টুকটাক কিছু করি।

তবে বিষয় অস্বীকার করেন কাউন্সিলর নাইমুল হোসেন লিটু, তিনি বলেন আমার কোনো লোকজন এই চাঁদাবাজির সাথে আছে কিনা আমার জানা নেই তবে আমি এটা বলতে পারি ট্রাফিক পুলিশের স্বার্থেই এই অবৈধ অটোগুলো চলছে। বছরব্যপি ট্রাফিক পুলিশের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের আরেকজন তারেকের সাথে চাঁদাবাজির প্রশ্ন তুলতেই বলতে থাকে, যা লেখার লেখেন আমরা আওয়ামী লীগ করি পেপারে লেখলে আমার লাইন বন্ধ হবেনা।

চাঁদাবাজ চক্রের অন্য দুই সদস্য হায়দার ও আসলামকে প্রশ্ন করার সাথে সাথে লাইনটি কেটে দিয়ে অন্য লোকজন দিয়ে নিউজ থামাতে মিডিয়া পাড়ায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

কাউনিয়া এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের নামে লাখ টাকা হাতানো ও কখনো অভিযান দেখা যায় কেন?

এ বিষয়ে বরিশাল ট্রাফিক পুলিশের ডিসি জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, অটোর বিরুদ্ধে আটক অভিযান চলমান আছে, আর এই তারেক,দুলাল,হায়দার, আসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।