পটুয়াখালীতে ধর্ষণ মামলা করে বিপাকে স্কুলছাত্রীর পরিবার

শেয়ার করুনঃ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর মহিপুরে ধর্ষণ মামলা করে বিপাকে পড়েছে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবার। বর্তমানে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম রাকিবের পরিবারের অব্যাহত হুমকিতে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর পরিবার ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রভাবশালীরা বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও কোনও সুরাহা হয়নি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মহিপুরের বাবাহারা ওই শিক্ষার্থীর মা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। শিক্ষার্থী বাড়িতে নানির সঙ্গে থাকতো। এ সুযোগে আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রাকিব ২০১৯ সালের ৩১ নভেম্বর রাতে ঘরে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই শিক্ষার্থী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রাকিব বিয়ের কথা বলে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর মা তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরে রাকিব গত বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকা গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর মায়ের অনুপস্থিতিতে তাকে ফের ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী ও তার মা এলাকায় এসে ২৪ নভেম্বর পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

তবে বর্তমানে রাকিবের পরিবারের হুমকি ধামকিতে অসহায় এ পরিবারটি হামলার আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর মা বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে কোনও সুবিচার তারা করতে পারেননি। থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেও তারা তা গ্রহণ করেননি। পরে আদালতে মামলা করি। তবে মামলার পর থেকে আমাদের অভিযোগ উঠিয়ে নিতে অব্যাহতভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে হুমকির মুখে আমাদের বাড়িঘর ছাড়ার মতো অবস্থা। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে রাকিব ও তার বাবার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবছার উদ্দিন মোল্লা তার এলাকায় ধর্ষণের এমন কোনও ঘটনার কথা জানেন না।

তবে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, এরকম একটা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে কিনা তা তা আমার জানা নেই।’