হল খুলে না দেওয়া পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে থাকবেন ববি শিক্ষার্থীরা

শেয়ার করুনঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ক্যাম্পাসের বাইরে এবং বিভিন্ন মেসে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশে খোলা জায়াগায় রাত কাটিয়েছেন তারা। হল খুলে না দেওয়া পর্যন্ত খোলা জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান তমাল ও সিয়াম জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অথচ আবাসিক হল খুলে না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা নানাভাবে নির্যাতন এবং ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। তাই হল খুলে দেওয়ার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, প্রশাসনিক ভবনের নিচে ও তার পাশে খোলা জায়গায় অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে।

তারা আরও জানান, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মেসে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানের তিন দফা দাবি এখন পর্যন্ত আদায় হয়নি। শিক্ষার্থীরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোথাও নিরাপদ বোধ করছে না। এ কারণে দ্রুত আবাসিক হল খুলে দেওয়া এবং যতক্ষণ পর্যন্ত হল খুলে না দেওয়া হবে ততক্ষণ প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান এবং রাত কাটাবেন তারা।

গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ের বিভিন্ন মেসে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এরপর শুক্রবার রাতেও রূপাতলী হাউজিংয়ে খুলনা থেকে আগত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের শিকার হয়। অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও হামলা-নির্যাতনের ভয়ে বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পরিচয় দিতে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, ক্যাম্পাসে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সজাগ এবং সতর্ক। তাদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেখানে থাকবেন সেখানেই তারা নিরাপদ থাকবেন বলে মনে করেন তিনি।

প্রক্টরের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলেও হল খুলে দিতে পারে না।