বরিশালে জামাত শিবির নেতাকে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক না দেয়ার দাবী

শেয়ার করুনঃ

শামীম আহমেদ :: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গারুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ.এস.এম জুলফিকার হায়দার বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবির নেতা। সে তথ্য গোপন ও প্রতারনা করে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী লাভ করেন। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকেই বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে জামায়াত শিবির ও বিএনপিকে শক্তিশালী করার কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত করেন। এছাড়া এলাকায় নিজেকে একজন দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান পরিচিতি অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকেন। যারফলে সরকারের তৃনমূল মানুষের জন্য আসা সাহায্য সহযোগীতা করে আসার সুফল ইউনিয়নের সাধারন মানুষ সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে চেয়ারম্যান জুলফিকার স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজের মন মতো সব কিছু করে যাচ্ছে। অপরদিকে সরকারী গভীর নলকুপ নিতে তাতে নগদ ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে নলকুপ মেলে না।

আজ সকাল ১১টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে পাঠ এসকল দূর্নীতির সকল তথ্য তুৃলে ধরেন গারুড়িয়া ২ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন হাওলাদার।

এসময় তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নে গৃহহীনদের জন্য আসা ঘড় নেয়ার জন্য নগদ টাকা দিতে হয় তাকে। ঘড়ের মালামাল গোপনে বিক্রি করে দেওয়া, ভিজিএফ, ভিজিডি চাল, আত্মসাৎ করার পাশাপাশি বিধবা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের ভাতার কার্ড তাও টাকার বিনিময়ে নিতে হয় তার কাছ থেকে। চেয়ারম্যান জুলফিকারের বিরুদ্ধে এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে তার বিচারের দাবী জানিয়ে।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিমাসে সদস্যদের নিয়ে একটি সভা করার সিদ্ধান্ত থাকা সত্বেও গত ৫ বছরে একটি সভা করেন তিনি। এছাড়া গোপনে গোপনে কতিপয় সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো রেজুলেশন বানিয়ে পরিষদকে দূর্নীতির আতুড় ঘড় বানিয়েছে। ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সকল নির্বাচিত সদস্যদের সঠিকভাবে সরকারী বরাদ্দ বন্টন করার নিয়মের আদেশ থাকা সত্বেও এই ইউনিয়নে এ ধরনের বিধান নাই।

তিরি আরো অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ইউনিয়নে নির্বাচিত ইউপি নারী সদস্যদের জন্য প্রতিমাসের সম্মানী বাবদ ৪ হাজার ৪শত টাকা দেয়ার নিয়ম থাকার পরও গত ৫ বছরে তিনি একটি টাকাও তাদের দেন নাই। চেয়ারম্যান জুলফিকারের সকল দূর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থার কথা অভিযোগ আকারে উপজেলা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার পরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় তিনি একর পর এক দূর্নীতি কাজে নিজেকে বেপরোয়া করে তোলেন।

ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান জুলফিকার ১৯৮৫-৮৬ সালে বাকেরগঞ্জ থানার জামাত শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন তারও প্রমান তুলে ধরেন। এমনকি ২০২০ সালে তিনিসহ কয়েকজন নারী ইউপি সদস্য বাদী হয়ে বরিশাল জজ আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়, যা এখন আদালত তার বিরুদ্ধে সমন জারী করেন।

তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে এই জামাত শিবির নেতা জুলফিকারকে যেন নতুন করে মনোনয়ন দেয়া না হয় তার জন্য তিনিসহ একাধিক গ্রামবাসী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র কাছে দাবী জানান।