নৃত্যমঞ্চে অনিন্দ্য প্রেম

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: লেই ড্যান্স থিয়েটারের পরিবেশনা ‘ইন্সপিরেশন অব আওয়ার হোম টাউন’। ছবি: নৃত্যযোগের সৌজন্যেলেই ড্যান্স থিয়েটারের পরিবেশনা ‘ইন্সপিরেশন অব আওয়ার হোম টাউন’। ছবি: নৃত্যযোগের সৌজন্যেএক জোড়া প্রেমিক টিয়া পাখি আনন্দে নাচ করছিল আলোকোজ্জ্বল মঞ্চে। স্বর্গীয় সুরে একে অন্যকে চুম্বন করছিল ভীষণ নান্দনিক ভঙ্গিতে। নৃত্যমঞ্চে সেই অনিন্দ্য প্রেম, শিল্পে এমন চুম্বন দৃশ্য দেখানো যায়, সেটা যেন ভাবনারও অতীত। তাইওয়ানের লেই ড্যান্স থিয়েটারের পুরুষ ও নারী দুই শিল্পী সেজেছিলেন সবুজ দুই পাখির সাজে। তাঁদের পরিবেশনা ‘ইন্সপিরেশন অব আওয়ার হোম টাউন’ রীতিমতো আবিষ্ট করে রাখে কক্স কার্নিভালের দর্শকদের।

গতকাল শনিবার ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যালে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী। আগামী বছর থেকে এ উৎসবের আয়োজন করতে যাতে কোনো বেগ পেতে না হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এই সন্ধ্যায় কোরিয়া আর তাইওয়ানের তিনটি পরিবেশনা ভীষণভাবে ছুঁয়ে যায় দর্শকদের। বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশনাগুলোও প্রশংসা কুড়ায়। তবে কোনো কোনো পরিবেশনায় সংগীতের অতিরিক্ত ব্যবহার তেমন শ্রুতিমধুর ছিল না। কোনো কোনো পরিবেশনার পোশাক এতটাই বিবর্ণ ছিল যে সেটা না ছিল উৎসবমুখর, না ছিল নৃত্যের পোশাক হিসেবে মানানসই। নিত্য যন্ত্রণার মধ্যে একটু আনন্দের জন্য মানুষ নৃত্যের কাছে যাবে, শিল্পীর আনন্দে আনন্দিত হবে। সেই ভাবনাটুকুও ভাবতে হবে বাংলাদেশের তরুণ শিল্পীদের।

আজ রোববার ছিল ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় দিন। সকালে মারমেইড ইকো রিসোর্টে ছিল উৎসবের আলোচনা পর্ব। ভারতের দীপশিখা ঘোষ কথা বলেন শান্তিনিকেতনের নৃত্যচর্চা নিয়ে। সেখানকার পরিবেশকে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে নৃত্য উপযোগী করেছেন, সেই পরিবেশের ওপরে ভিত্তি করে কীভাবে নির্মিত হয়েছে রবীন্দ্রনৃত্য, এ নিয়েই ছিল তাঁর বক্তব্য। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনৃত্যে প্রায় সব ঘরানার নাচই আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাচকে কোনো ব্যাকরণের মধ্যে আটকে রাখতে চাননি। নাচকে জীবনের অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও চর্চা করাতে চেয়েছেন।