চরফ্যাশনে মসজিদ ও ঈদগাঁর দু‘কোটি টাকার সম্পত্তি দখলে নিলেন মেম্বার

শেয়ার করুনঃ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি :: ভোলার চরফ্যাশনের কাশেমগঞ্জ বাজারের প্রায় ২কোটি টাকার মসজিদ ও ঈদগাহের জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য দুলালের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুলাল মেম্বার ও তার সেনা সদস্য ভাই মোসলেমগং কর্তৃক কাসেমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন উত্তর মাদ্রাজ মৌজার ৮৪ জেলনং এর এসএ ২৪৪ নং খতিয়ানের ৪০ শতাংশ জমি মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য স্থানীয় দানবীর মিনহাজ উদ্দিন তালুকদারগং দান করেন।
দান কৃত ওই জমি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জিন্নাগড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দুলাল মেম্বার ও তার সেনা সদস্য ভাই মোসলেম’সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা একত্রিত হয়ে বাজার মার্কেট নির্মাণে জবর দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
মসজিদের স্থানীয় একাধিক মুসল্লী ও এলাকাবাসী জানান, মৃত ফজলুল হক মাস্টারগং থেকে মৃত মিনহাজ উদ্দিন তালুকদার ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরে ওই জমি মিনহাজ গংরা কাশেমগঞ্জ বাজার মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠের জন্য দান করেন। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ ও ঈদগাহের ওই জমি দখলে থাকলেও জিন্নগড় ইউপি সদস্য দুলালগংরা ওই জমিতে অবস্থিত মসজিদের পুকুরের উত্তর প্রান্তে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণে গাইড ওয়াল সহ পাকা স্থাপনা নির্মাণে কাজ করছে।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, আমার পিতা মৃত মিনহাজ উদ্দিন তালুকদার মসজিদ ও ঈদগাহকে নামাজের কাজে ব্যবহারের জন্যে ৪০ শতাংশ জমি দান করেছেন যার সকল কাগজপত্র রয়েছে।

ইউপি সদস্য দুলালের ভাই রংপুর কেন্টনমেন্টে সার্জেন্ট পদে কর্মরত মোসলেম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার আত্মীয় স্বজনরা এই জমি দান করেছেন। এই জমিতে মার্কেট নির্মাণে এবং মার্কেটের সৌন্দর্যবর্ধনে জমি নেয়া হলেও মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং চরফ্যাশন থানার ওসির সমঝোতায় কিছু টাকার বিনিময়ে ওই জমিতে আমরা স্থাপনা নির্মাণ করছি। তবে টাকার পরিমান করতে নারাজ।

জিন্নগড় ইউপি সদস্য মো.দুলাল মুঠোফোনে জানান, ঈদগাহ মাঠ কমিটির সঙ্গে সমঝোতায় কাজ করছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.হোসেন মিয়া বলেন, দুলালগং ওই জমির বিনিময়ে অন্য যায়গা দিয়ে ইদগাহ মসজিদের টয়লেটের জন্য ৫ শতাংশ জমি দিচ্ছে। এবং ঈদগাহ কমিটিকে কিছু টাকাও দিবে। এই শর্তে দুলালরা সেখানে মার্কেট নির্মাণ করছে।

ঈদগাহ ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, দুলাল মেম্বার গং কিভাবে মার্কেট নির্মাণ করছে এটা আমার জানা নেই। আমি বাঁধা দিলে ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন কিছু টাকা দিয়ে দিবে। এর বাহিরে আমি কিছু জানিনা।’’