বরিশালে সিজন ছাড়াই কুকুরের কামড়ে এক মাসে আহত দু্ই’শ!

শেয়ার করুনঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও পাড়া-মহল্লায় বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে। কখন বেওয়ারিশ কুকুর কামড় দেয় এ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন হাট-বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাসহ এলাকাবাসী।

চিকিৎসাকেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় গত ১ মাসে অন্তত ২০০ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে।

জানা গেছে, আহত লোকজন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে দেরি হওয়ায় অথবা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা না নেওয়ায় আহতদের মধ্যে অনেকে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

বরিশাল সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নি পারভীন জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত এক মাসে কুকুরের কামড়ে আহত অন্তত ২০০ ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে গত ২৯ এপ্রিল সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৪ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন।

সরেজমিন জানা যায়, বেওয়ারিশ কুকুরের সবচেয়ে বেশি উৎপাত রয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) এলাকায়। সিটি এরিয়ার প্রধান কাঁচাবাজার বাজার রোডে মুরগি ও মাংসের দোকানের পাশে দেখা যায় ১৪-১৫টি বেওয়ারিশ কুকুর ঘোরাফেরা করছে। ক্রেতারা মুরগি বা মাংস কিনে হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক কুকুর ক্রেতাকে ঘিরে ধরে মাংসের থলে কেড়ে নেওয়ার জন্য।

গরুর মাংসের ক্রেতা কালাম বলেন, ‘মুরগি ও মাংসের দোকানে সারাক্ষণ ১০-১২ টি বেওয়ারিশ কুকুর হা করে থাকে। আতঙ্কের মধ্যেই আমাদের বাজার করতে হয়।’ এছাড়াও শহরের অন্যান্য বাজরগুলোতেও কুকুরের উৎপাত রয়েছে।

বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি আপনার (প্রতিবেদক) কাছ থেকে শুনলাম। মেয়র স্যারের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, ‘কুকুর হঠাৎ ক্ষিপ্ত হওয়ার প্রধান কারন প্রচন্ড তাপদাহ। সিজন ছাড়াও র‌্যাবিস ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে কুকুর মানুষকে ইচ্ছেমত কামড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন ও মানুষকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন আমাদের হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে।’