পিরোজপুরে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা, বোমা নিক্ষেপ

শেয়ার করুনঃ

পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় শুভসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে। তবে বোমা দুটি বিস্ফোরিত হয়নি।

সোমবার রাত ১১টার দিকে পৌরসভার উকিলপাড়া এলাকায় গুলি ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান পৌর যুবলীগের ওই নেতা। এ ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুভ অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার রাতে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌর এলাকার ওয়ার্ডে যুবলীগের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে তিনিসহ পৌর যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে যান।

পরে রাত ১১টার দিকে শহরের উকিলপাড়ার তার বাসার সামনে আসেন। কিছুক্ষণ পর তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের বিদায় দেওয়ার সময় হঠাৎ করে তিনটি মোটরসাইকেল শুভর বাসার সামনে আসে।

এ সময় মোটরসাইকেল থেকে হেলমেট পরা যুবকরা শুভকে টার্গেট করে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল বের করে গুলি ছোড়ে। এ সময় শুভ পাশের রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে প্রাণে রক্ষা পান। গুলির শব্দ শুনে সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে অন্য মোটরসাইকেলে থাকা যুবকরা তাদের লক্ষ্য করে পর পর দুটি হাতবোমা নিক্ষেপ করে পলিয়ে যায়।

বোমা দুটি অবিস্ফোরিত থাকে। একই রাতে সংঘবদ্ধ যুবকরা সিআইপাড়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীবের বাসায় হামলা চালায়।

পৌর যুবলীগের ওই নেতা অভিযোগ করেন, এ ঘটনার প্রায় ১০ মিনিট পর সন্ত্রাসীরা সেলফোনে তাকে হত্যাচেষ্টা করার কথা স্বীকার করে বলে, বোমা ফুটেনি-তবে গুলি তো ফুটেছে।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিরন জানান, কিছু দিন ধরে শহরের বিভিন্ন স্থানে সোহাগ সিকদার নামে এক দুর্বৃত্ত তার দলবল নিয়ে শহরে মহড়া দিয়ে বেড়ালেও পুলিশ তাদের আটক করছে না।

বিগত দিনে সোহাগের বিরুদ্ধে থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। দুদিন আগে তার নামে সদর থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, স্থানীয় ক্ষমতাশীল এক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থাকার কারণেই পুলিশ সোহাগ সিকদারকে গ্রেফতার করছে না।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সেখান থেকে বোমাসদৃশ্য দুটি বস্তু উদ্ধার করেছে। তবে উদ্ধারকৃত এ দুটো বোমা বা ককটেল নাকি অন্যকিছু তা পরীক্ষার পরেই জানা যাবে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।