নামসর্বস্ব দৈনিক পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: নামসর্বস্ব আন্ডারগ্রাউন্ড দৈনিক পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানী থেকে প্রকাশিত নামসর্বস্ব বিভিন্ন পত্রিকায় সরকারি ক্রোড়পত্রসহ অন্যান্য বিজ্ঞাপন ছাপার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বরাবর দুই সাংবাদিকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক নেতারাও ভুঁইফোড় পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ে দাবি জানিয়ে আসছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলমের গত ১৫ জুলাই স্বাক্ষর করা একটি চিঠি তথ্যসচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। এতে আবেদনকারীদের অভিযোগের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আবেদনকারীদের অভিযোগ, আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা এবং তাতে কর্মরতদের কারণে প্রতিষ্ঠিত দৈনিক পত্রিকাগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে পেশাদারি সাংবাদিকতা। এক শ্রেণির সরকারি চাকুরের সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকাসংশ্লিষ্টদের অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে সরকারের বিপুল অর্থ অপচয় হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল গতকাল মঙ্গলবার বলেন, কিছু মানুষ নামসর্বস্ব পত্রিকা খুলে অনৈতিকভাবে সরকারের সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি পেশাদার সাংবাদিক-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এমন পত্রিকা যাতে ডিক্লারেশন না পায় সে ব্যবস্থাও নিতে হবে।

মুখ্য সচিব বরাবর আবেদনটি করেন ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক ও প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম রইচ মল্লিক। আবেদনে বলা হয়েছে, পাঠকসমাদৃত প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিকগুলোর পাশাপাশি ঢাকা থেকে অসংখ্য নামসর্বস্ব দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। এসব পত্রিকা অসত্য ঘোষণা দিয়ে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে মিডিয়া তালিকাভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে তারা সরকারি বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন দিবসের ক্রোড়পত্র ছাপিয়ে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে চলেছে। আর পেশাদারির সঙ্গে চলা দৈনিক পত্রিকাগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকারগুলোর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা আছে। কিন্তু ওপরের নির্দেশ ছাড়া গণমাধ্যম বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। তবে এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সূত্র, কালের কণ্ঠ