বাউফলে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পেতে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি

শেয়ার করুনঃ

তোফায়েল ইসলাম মিশু, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার জেলের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পেতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। নির্বাচনকালীন চাল বিতরণ নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আপত্তির মুখে প্রশাসন প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কালাইয়া খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের মাঝে দুই দিন ব্যাপী চাল বিতরণ করেন। দীর্ঘপথের পরিবহন খরচ ও ভোগান্তির কারনে সুবিধাভোগী জেলেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে এই আশংকায় চাল বিতরণে আপত্তি জানান কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। ফলে উপজেলা প্রশাসন চাল নিয়ে বিপাকে পড়েন। মে ও জুন মাসে প্রত্যেক জেলে ৮০ কেজি করে চাল পাবেন। ৩০ জুনের মধ্যে চাল বিতরণ করা না হলে তা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। বাধ্য হয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় কালাইয়া খাদ্য গুদাম থেকে কেশবপুর ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু কেশবপুর ইউনিয়ন থেকে কালাইয়া খাদ্য গুদামের দুরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এত দূরের পথ পাড়ি দিয়ে মোট ১৪৩০ জন জেলে সেখানে মঙ্গলবার ও বুধবার চাল নিতে আসেন।

চাল নিতে আসা কয়েকজন জেলে জানান, ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তারা চাল নিতে এসেছেন। খাদ্যগুদামের লেবার, যানবাহন খরচ এবং হোটেলে খাওয়াসহ প্রতিজন জেলের প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ব্যয় হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, কালাইয়া গুদাম থেকে কেশবপুর পর্যন্ত চাল পরিবহনে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দরকার। সরকার যে পরিমাণ টাকা পরিবহন খরচ হিসেবে দিত বাকি টাকা চেয়ারম্যান বহন করতেন। কিন্তু চেয়রাম্যান প্রার্থীদের আপত্তির মুখে বর্তমান চেয়ারম্যান সেই দায়িত্ব নিচ্ছেন না এবং চাল বিতরণকালেও থাকতে পারছেন না। ফলে জেলেরা স্ব স্ব উদ্যোগে কালাইয়া খাদ্যগুদাম থেকেই চাল নিচ্ছেন।

বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের চাল বিতরণ করার কথা। কিন্তু কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর আপত্তির কারনে নিরাপত্তাসহ নানান জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় বাধ্য হয়ে কালাইয়া খাদ্য গুদাম থেকে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’’