পটুয়াখালীতে ভোট না দেওয়ায় পরাজিত প্রার্থীর ছেলের হামলায় আহত ১২

শেয়ার করুনঃ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর গলাচিপায় নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পরাজিত প্রার্থীর ছেলেরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারিকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- সেরাজুল গাজী (৪০), জামাল খাঁ (৪২), জুয়েল খাঁ (৩৪), তৌহিদ খান (১৮) ও জহির গাজী (৫৫) ও আমিনুল (৪০)। এর মধ্যে গুরুতর আহত সেরাজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যরা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. রিয়াজ গাজীকে নিয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা জানাতে রওনা হন এলাকাবাসী। সকাল ১০টার দিকে কাছারিকান্দার গুরিন্দা মসজিদের কাছে গেলে পরাজিত প্রার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার মুন্সির ছেলে আসাদুল মুন্সির সঙ্গে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের কাছারিকান্দা গুরিন্দা মসজিদের পাশের রাস্তায় বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আসাদুল, আলমাস চৌকিদার, বায়েজিদ, জিএম, মেহেদী, শাহ আলী, রফিক, আসাদুল মজুমদারসহ ২০ থেকে ২৫ জন মিলে সেরাজুল, জামাল, জুয়েল, তৌহিদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুইপক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। ভোট না দেওয়ার অভিযোগ করে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা চালানো হয়। এ সময় আহতদের ডক-চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি এমআর শওকত আনোয়ার বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’