বরগুনায় বাবার হাতে ছেলে খুন

শেয়ার করুনঃ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :: মাকে রক্ষায় দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ সুমন (১৫) বাবা আসাদুল খাঁনের হাতে নিহত হয়েছে। আমতলী থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। বাবা আসাদুল খাঁন নিহত ছেলে সুমনের মরদেহ আমতলী হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে। স্কুল ছাত্র সুমনের নিহতের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত সুমনের সহপাঠীরা ঘাতক বাবার শাস্তি দাবি করেছেন। ঘটনা ঘটেছে তালতলী শহরের টিএনটি সড়কে বুধবার দুপুরে।

জানা গেছে, তালতলী উপজেলা শহরের টিএনটি সড়কের আসাদুল খাঁনের সাথে তার স্ত্রী সেলিনা বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বাবা ও মা ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। এ সময় ছেলে সুমন বাড়ীতে ছিল না। প্রাইভেট পড়তে তালতলী সরকারী মাধ্যমিক স্কুলে যায়। সুমন বাড়ীতে এসেই দেখে বাবা আসাদুল খাঁন মা সেলিনাকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে উদ্ধত হয়। এ সময় ছেলে বাবাকে ফেরাতে মায়ের মাসনে দাড়ায়। ওই মুহুর্তে ধারালো অস্ত্রের আঘাত স্ত্রী সেলিনা বেগমের শরীরের না লেগে ছেলে সুমনের কপালে লাগে। মুহুর্তের মধ্যেই ছেলে সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক বাবা আসাদুল খাঁন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই হাসাপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ছেলের অবস্থা খারাপ দেখে বাবা আসাদুল ছেলে সুমনকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে ছেলেকে রেখেই বাবা আসাদুল খাঁন পালিয়ে যায়। পরে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কেএম তানজিরুল ইসলাম ছেলে সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবার হাতে ছেলের নিহতের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত সুমনের সহপাঠিরা ঘাতক বাবার দৃষ্টান্তমুলক শান্তি দাবি করেছেন। নিহত সুমন তালতলী সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র।

মা সেলিনা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারধর করতো।

আমাকে রক্ষা করতে গিয়েই আমার ছেলে খুন হয়েছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।

তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘাতক বাবাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে নিহত স্কুল ছাত্র সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।