কার্গো ট্রেনে ভারত থেকে বেনাপোলে এলো ৫১ পিকআপ

শেয়ার করুনঃ

রেলপথে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত শুরুর পর থেকে একের পর এক পণ্য আমদানি হচ্ছে কার্গো ট্রেনে। সড়কপথে বনগাঁর কালিতলা পার্কিংয়ের নামে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের তৎপরতা কমাতে বেশির ভাগ পণ্য আসবে কার্গো ট্রেনে। শুকনা মরিচ, প্রসাধনী ও কারখানার মালামালের পর এবার ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে এলো টাটা মোটরসের পিকআপভ্যান।

কলকাতা থেকে ৫১টি পিকআপ ভ্যান নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে কার্গো ট্রেনটি। পরে ট্রেন থেকে পণ্য আনলোড করে বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, আমদানির নতুন দিগন্ত শুরু হওয়ার সুচনায় প্রথম দিন ২৬ জুলাই এসেছিল কার্গো ট্রেনে ৫০টি কন্টেইনারে গার্মেন্টসসহ প্রসাধনী পণ্য সামগ্রী। মঙ্গলবার টাটা মোটরসের ৫১টি পিকআপভ্যান এসেছে। এতে আমদানিকারকদের খরচ ও সময় অনেকটা বাঁচবে। ভারত থেকে কন্টেইনার বোঝাই বিভিন্ন মালামাল এখন থেকে কার্গো ট্রেনে আসা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বন্দর একটি চার্জ পাবে। ব্যবসায়ীদের খরচ কম হবে। আগে সাধারণ রেলে পণ্য এসেছে ভারত থেকে। এখন থেকে কন্টেইনারে পণ্য আসা শুরু হলো। ব্যবসায়ীরা রেলপথে আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার বাংলাদেশ এজেন্ট টিসিআই বাংলাদেশ লিমিটেডের ভেন্ডর পার্টনার এমএম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মেহের উল্লাহ বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে কার্গো ট্রেনে সব ধরনের পণ্য আসায় পার্টনার হিসেবে কাজ করছি। ট্রেনে পণ্য এলে অনেক সুবিধা ও নিরাপত্তা থাকে। এখন থেকে বেশির ভাগ আমদানি পণ্য ভারত থেকে ট্রেনে আসবে। আবার রফতানি পণ্য ও ওয়াগানে ভারতে যাবে।

বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, ভারত থেকে যে ৫১টি পিকআপভ্যান কার্গো ট্রেনে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে, তার চার্জ হিসেবে রেল কর্তৃপক্ষ এক লাখ ২৩ হাজার ৮২২ টাকা আদায় করেছে। এই রেলের মাধ্যমে পণ্য আসা-যাওয়া করলে রেলখাতেরও উন্নয়ন হবে।