এবার কালাম মোল্লার সেই অবৈধ ভবনটি গুঁড়িয়ে দিলো বিসিসি

শেয়ার করুনঃ

দর্পন বার্তা ডেস্ক :: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কালাম মোল্লার সেই অবৈধ ভবনটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। নগরীর গড়িয়ারপাড় এলাকায় কালাম মোল্লা নিজেই একটি বিতর্কিত জমিতে অবৈধ ভাবে ভবনটি নির্মাণ করছিলেন। পূর্বেও নির্মাণাধিন অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ করেছিলো সিটি কর্পোরেশন।

সূত্র জানায়, নগরীর গড়িয়ারপাড় এলাকায় কাউন্সিলর কালাম মোল্লা নিজেই বিতর্কিত একটি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন। পূর্বেও কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখার দুই কর্মকর্তা মাসুদ রানা ও রেজাউল কবির নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। তখন মাসুদ রানা ও রেজাউল কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউন্সিলর কালাম মোল্ল­াকে ভবন নির্মাণে বিরত থাকার অনুরোধ রাখেন। কামাল মোল্ল­া তখন ক্ষুব্ধ হয়ে উভয় কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছিলেন। পরে ওই দুই কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে কোন ক্রমে সরে এসে আত্মরক্ষা করেন। যদিও রাতে এ সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপরিটন বিমানবন্দর থানায় একটি মামলাও করা হয়েছিলো। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে মামলাটির করেছিলেন মাসুদ রানা। অবশ্য পরের দিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একদল কর্মকর্তা গড়িয়ারপাড়ে অভিযান চালিয়ে ওই স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন।

এত কিছুর পরেও থেমে থাকেন নি বিকর্কিত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর কালাম মোল্ল­া । নিজের পেশি শক্তি কাজে লাগিয়ে পুনরায় ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এমন সংবাদে বুধবার (২৯ জুলাই) রাতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা পুনরায় ভবনটি গুঁডিয়ে দিয়েছে।

বিসিসি সূত্রে জানা গেছে- নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত জায়গায় কালাম মোল্লা বাণিজ্যিক একটি ভবন নির্মাণকাজ করছিলেন। ওই সম্পত্তি সিটি কর্পোরেশনের। এমনকি নির্মাণাধীণ ভবনটিও নকশা বর্হিভুত।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন দর্পন বার্তাকে বলেন- কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই একটি ভবন নির্মান কাজ চলছিলো। পূর্বেও ভবনটি নির্মাণ কাজে নিষেধ করেছিলো বিসিসি। তারপরেও অবৈধভাবে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিলো। যে কারনে অবৈধ ওই ভবনটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভবন নির্মাণের জায়গাতো অবৈধই, তারপরেও ভবনটি নির্মাণের জন্য কোন ধরনের অনুমতি নেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

উল্লে­খ্য- ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কালাম মোল্ল­া এবং পার্শ্ববর্তী কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লিটন মোল্ল­া এই দুই সহোদর নানা কারণে বিতর্কিত। স্থানীয় আ’লীগের নেতৃত্বে থাকা এই দুই সহোদর একাধারে জনপ্রতিনিধি ও পরিবহন সেক্টরের একাংশের নিয়ন্ত্রক। পরিবহন খাত থেকে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি ও ইতিপূর্বে এ ধরনের একাধিক ঘটনার জন্ম দিয়ে তারা খবরের শিরোনাম হয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনে নিলুপ্ততার কারণে তারা আরও বেপরোয়া হয়েছেন।

কালাম মোল্লার ছোট ভাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লিটন মোল্লার অনুগত একদল সন্ত্রাসী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বাসায় ফেরার পথে পথরুদ্ধ করে বকেয়া চাঁদার টাকার জন্য মারধর ও মারাত্মক জখম করে। এসময় তার সাথে থাকা পরিবহনের ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯ শত ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই এয়ারপোর্ট থানার এএসআই রুহুল আমীনসহ একদল পুলিশ ম্যানেজার শহিদুলকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় চেয়ারম্যন লিটন মোল­াসহ তার অনুগত বাহিনীর সদস্য ও হামলাকারী রনি মৃধা, মোঃ রুবেল, মোঃ তারেক, মোঃ নাসির, মোঃ সোহাগ, মোঃ মাসুম, মোঃ সুজন, মোঃ জলিল, মোঃ মাসুদ ওরফে ইঞ্জিন মিস্ত্রি ও মোঃ ইউনুসকে আসামী করে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করায় লিটন মোল্লার সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জীবননাশের হুমকির মুখে পড়েছেন তিনি।

কালাম মোল্লা ও লিটন মোল্লার বিভিন্ন অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন আসছে দর্পন বার্তায়…