বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তানি দোসররা আ.লীগের চিহ্ন মুছে ফেলতে চেয়েছিল : আমু

শেয়ার করুনঃ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি দোসররা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেদিন ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে যান। স্বাধীন দেশে ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্তানি দোসররা তাকেও হত্যা করতে ১৯ বার চেষ্টা করেছে। জাতির পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পন্ন করে যাচ্ছেন।

সোমবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠি শহরের আমতলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তানি দোসররা এদেশ থেকে আওয়ামী লীগের চিহ্ন মুছে ফেলতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের এজেন্ট হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। নাগরিকত্বহীন গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করেছিলেন।

ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমীন খান সুরুজ, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম আলম খান কামাল, সদর উপজেলা পরিষদের সভাপতি আব্দুর রশিদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ, যুবলীগ নেতা খসরু নোমান, জামাল হোসেন মিঠু, ছবির হোসেন, আলী আজগর আকাশ, মাইনুল হোসেন , শফিকুল ইসলাম, সরওয়ার হোসেন স্বপন মোল্লা, আব্দুল হক খলিফা, রাকিব তালুকদার, ইলিয়াস খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।”