মঠবাড়িয়ায় ফার্মেসীর লাইসেন্স দেখা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

শেয়ার করুনঃ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বেতমোর বাজারে ব্যক্তিগতভাবে এক ফার্মেসী মালিক আরেক ফার্মেসী মালিকের দোকানে গিয়ে লাইসেন্স দেখতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় ২ টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়,বেতমোর বাজারস্হ জোহা মেডিকেল হলের ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স না থাকায় সংলগ্ন হাওলাদার ফার্মেসীর প্রোপ্রাইটর জাকির হোসেন বাজার কমিটির মিটিং এ স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে লাইসেন্সবিহীন ওষুধ বিক্রির মৌখিক অভিযোগ করেন।বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে সুরাহা দিবেন বলে জানান।

ওইদিন সন্ধ্যায় জোহা মেডিকেল হলের প্রোপ্রাইটর হাসান খন্দকার হাওলাদার ফার্মেসীর প্রোপ্রাইটর জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এমন গুজবে জাকির উত্তেজিত হয়ে জোহা ফার্মেসীতে গিয়ে লাইসেন্স দেখতে চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় এবং স্হানীয়রা মাঝখানে পড়ে জাকিরকে তার দোকানে পাঠিয়ে দেয়।

জাকির নিজ ফার্মেসীতে যাওয়ার পর ২০/২৫ জন দুর্বৃত্ত ফার্মেসীতে হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তায়ন ঘটায়। জাকিরকে না পেয়ে জাকিরের ছোট ভাই মামুনকে পিটিয়ে ও চাচাতো ভাই ফোরকানকে মাথা লক্ষ্য করে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। স্হানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

জোহা ফার্মেসীর মালিক হাসান জানান, আমার ফার্মেসীর লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন আছে। তারপরও কোন অসঙ্গতি থাকলে তা দেখভালের জন্য অথরিটি আছে। জাকির হোসেন আমার ফার্মেসীতে লাইসেন্স দেখতে এসে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি করেছে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।”