পাওনা টাকা আদায়ে গার্মেন্টস কর্মীর জানাজায় বাধা

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকা আদায়ে আব্দুস সামাদ (৫০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর জানাজায় বাধা ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সিংড়া থানায় সোমবার (১০ আগস্ট) একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের তুলাপাড়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত ৩১ জুলাই তিনি ঈদ পালন করতে বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন (১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। বাদ মাগরিব আব্দুস সামাদের মরদেহ ঈদগাহ মাঠে জানাজার প্রস্তুতি নেয়া হয়। খবর পেয়ে একই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে হাফেজ মাওলানা মুফতি রমিজুল করিম আনসারী (৩৫) সামাদের কাছে সুদসহ পাওনা প্রায় ৪০ হাজার টাকা দাবি করে জানাজায় বাধা দেন।

গ্রামবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলেও মুফতি রমিজুল করিম না মানায় জোরপূর্বক ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে বাঁশবাড়িয়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সামাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। এখন টাকার জন্য আবার চাপ দেয়ায় সামাদের বাবা জমছেদ আলী সোমবার মুফতি রমিজুলের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জমসেদ আলী বলেন, টাকা পাওনার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। মুফতি রমিজুল করিম হঠাৎ আমার ছেলের জানাজায় বাধা দেন। সুদসহ আসল টাকা না পেলে আমার নাতি হাফেজ সেলিম রেজা ও আমাকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তিনি টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

তবে মুফতি রমিজুল করিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুদের টাকার জন্য কাউকে হুমকি ও মরদেহ দাফনে বাধা দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি ঢাকার একটি মাদরাসায় চাকরি করি। ঈদের পরদিনই ঢাকায় এসেছি। আমি তিন বছর আগে আব্দুস সামাদকে এক বিঘা জমি লিজ বাবদ লিখিত একটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৩৩ হাজার টাকা দেই এবং তাকেই জমি বর্গা দেই। সেই সূত্রে বছরে ১০ মণ ধান দেয়ার কথা থাকলেও তিনি দেননি। হঠাৎ সামাদের মৃত্যুর কথা শুনে জানাজায় অংশ নিয়ে গ্রামবাসীর সামনে পাওনা টাকার কথা বলতেই তার স্বজনরা অস্বীকার করে আমাকে টাকা দেবে না বলে মারপিট করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।