র‍্যাবকে ঘুষ দিতে গিয়ে যুবলীগ নেতাসহ আটক ৬

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: কুমিল্লায় ঘুষের বিনিময়ে মাদকসহ গ্রেফতার চার আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে এক যুবলীগ নেতাসহ ছয়জন র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন। সোমবার (১০ আগস্ট) রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং ছয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নগরীর শাকতলা এলাকার র‍্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ এর একটি দল সোমবার রাতে নগরীর ডিগাম্বরীতলা এলাকায় এলআর অ্যাপেক্স টাওয়ার নামে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান পরিচালনা করে ৩০৫ পিস ইয়াবা, ১২ ক্যান বিয়ার ও মাদক বিক্রির নগদ ৩৭ হাজার টাকাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

আটকরা হচ্ছে- নগরীর মৌলভীপাড়া এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে মো. শহীদুজ্জামান সজীব (২৮), কাপ্তান বাজার এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে জুবায়েরুল হক ওরফে নিপু (৩১), বজ্রপুর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শাকিল বিন জলিল (৩০) ও বুড়িচং উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল ভূঁইয়ার ছেলে আবুল হোসেন ভূঁইয়া (৩৮)।

মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, আটক চার আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে সোমবার রাতেই মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বোরহান মাহমুদ কামরুলসহ ছয়জন র‍্যাব কার্যালয়ে আসেন। তারা র‍্যাবকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মাদকসহ আটক হওয়া ওই চার আসামিকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। এ সময় তাদেরকেও আটক করা হয়।

আটকরা হচ্ছে- সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বোরহান মাহমুদ কামরুল (৪৭), নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকার মৃত ইউনুছ মুন্সীর ছেলে মো. জহিরুল হক (৬৪), মৌলভীপাড়া এলাকার আহমেদুল কবিরের ছেলে ইফতেখারুল কবির (১৮), মৃত ফরিদ আহমেদের ছেলে ফয়েজ আহমেদ ওরফে অপু (৪০), ছোটরা এলাকার মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে মো. নিয়ামুল হক (৩০) ও সদর উপজেলার ইলাশপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আমজাদ হোসেন (৩৬)।

র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, মাদকসহ গ্রেফতার চার আসামি পরস্পর যোগসাজশে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতে ঘুষ দেয়ার চেষ্টাকালে আরও ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং ছয়জনের বিরুদ্ধে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা করা হয়েছে।