নলছিটিতে করোনাকালে অভিনব পদ্ধতিতে চলছে কোচিং বাণিজ্য

শেয়ার করুনঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে ঝালকাঠির নলছিটিতে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক ও কোচিং সেন্টারের মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কাই না থাকায় উপজেলায় করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ ঘোষণা করলেও এ নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না উপজেলায়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত এদেও বিরুদ্ধে কোনোই ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। প্রশাসনের এমন উদাসীনতা দেখে উপজেলার সচেতন মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সরকারি আদেশ অমান্য করে প্রশাসনের নাকের ডগায় নলছিটি পৌরসভার সামনের সড়কে অভিনব পদ্ধতিতে চলছে এ.রহিম কিন্ডার গার্টেন নামে একটি কোচিং সেন্টার। এখানে প্রধান প্রবেশ পথ বন্ধ করে পেছনের দরজা দিয়ে শিক্ষাথীদের ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কারো মুখেই নেই মাস্ক। বসার ক্ষেত্রে নেই কোনো শারীরিক দূরত্ব। একইভাবে স্টেশন রোড, ফেরিঘাট সড়ক, সবুজবাগ, থানার পোল, মল্লিকপুর ও খাসমহল এলাকায় চলছে বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার। সরকারের সকল ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালু থাকায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

চিকিৎসকরা মনে করছেন, এভাবে কোচিং সেন্টার চললে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে এসব শিক্ষার্থীদের। করোনার ঝুঁকি নিয়ে কোচিং সেন্টারে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। এটাকে অভিভাবকদের দায়িত্বে অবহেলা ও খামখেয়ালিপনা মনে করছেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে এ.রহিম কিন্ডার গার্টেনের মালিক আব্দুর রহিম বলেন, ‘অভিভাবকদের অনুরোধে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পড়ানো শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন তা বন্ধ করে দিয়েছি।’

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালু রাখা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমার ভুল হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুম্পা সিকাদার বলেন, খোঁজখবর নিয়ে এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”