ফিল্মি স্টাইলে দলবল নিয়ে স্বামীর বাড়ি লুট করলেন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: ফিল্মি স্টাইলে দলবল নিয়ে সাবেক স্বামীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও মালপত্র লুট করেছে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে এমন কাণ্ড ঘটান ওই নারী। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের নুর আলী সরদারের মেয়ে মাছুরা খাতুনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয় পরানদহা গ্রামের মৃত. আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে আলম হোসেনের। তবে স্ত্রী মাছুরা খাতুনের ব্যবহার ভালো না হওয়ার কারণে গত ২৫ আগস্ট তাকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন আলম।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে দলবল নিয়ে সে (স্ত্রী) সিনেমা স্টাইলে ঘরের তালা ভেঙে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে আলম হোসেন ও তার স্ত্রী মাছুরা খাতুনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত কয়েক মাস আগে মাছুরা খাতুন স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাবার বাড়িতে চলে যায়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শুক্রবার সকালে পরানদহা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিস হয়। সালিসে আলম হোসেন তার স্ত্রীকে ইতোমধ্যে তালাক দিয়েছেন বলে প্রমাণিত হওয়ায় কোনো মিমাংসা ছাড়াই সালিস শেষ হয়।

এরপর বিকেল ৩টার দিকে বেস্ট টিম সাতক্ষীরার অ্যাডমিন মোস্তাফিজুর রহমান, তার স্ত্রী শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি ও কুলিয়ার সাবেক মেম্বর মোশারাফ হোসেনকে সাথে নিয়ে মাছুরা খাতুন আলমের বাড়িতে যান। বাড়িতে গিয়ে আলমের ঘরের তালা ভেঙে ঘর থেকে মূল্যবান কাগজপত্র, জমির দলিল ও নগদ টাকা লুট করে। পরে গ্রামবাসীর বাধার মুখে তারা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরার বেস্ট টিমের অ্যাডমিন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই ছেলে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে এটা ঠিক। তালাক হবার পরও তিন মাস ১০ দিন ওই মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকার অধিকার রাখে।

এ বিষয়ে মাছুরা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আছাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।