অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে ঢাকায় পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা!

শেয়ার করুনঃ

বরগুনা প্রতিনিধি :: সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে প্রায় আট দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো. আবুল ফাত্তাহ। এ কারণে বেশ কিছুদিন ধরে জটিল রোগীরা বিপদে পড়ছেন।
এমন অভিযোগে হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক, কর্মচারী ও ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২৭ আগস্ট পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো. আবুল ফাত্তাহ ঢাকায় যান। তার যাওয়ার সময় একাধিক চিকিৎসক চাবি রেখে যাওয়ার কথা বললেও তিনি চাবি পকেটে নিয়েই চলে গেছেন। এ কারণে পাথরঘাটার রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ফলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালে। এনিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা স্থানীয়দের রোষানলেও পড়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা আগত রোগীদের কাছেও কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোগীর স্বজনরা জানান, তাদের এক আত্মীয় ১৪ বছরের কিশোর গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তখন তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তখন সরকারী অ্যাম্বুলেন্স নিতে চাইলে জানতে পারেন অ্যাম্বুলেন্সের চাবি টিএইচও ঢাকা নিয়ে গেছেন।

পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী অ্যাম্বুলেন্সটির চালক মো. নাসির উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চাবি স্যার আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছে আগেই। আমি চাবির জন্য স্যারের কাছে লিখিতভাবেও চেয়েছি, কিন্তু তিনি দেন নাই। চাবির ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সবাই জানে তিনি কীভাবে আমার কাছ থেকে চাবি নিয়েছেন।

পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো. আবুল ফাত্তাহ জানান, চাবি আমার কাছে থাকার কথা না। চাবি ড্রাইভারের কাছে থাকে, তার কাছেই ছিল। ড্রাইভারের করোনা পজিটিভ থাকার কারণে প্রত্যয়ন পত্র দরকার ছিল, সে প্রত্যয়ন পত্রও নেয়নি। আর চাবির জন্য আবেদন করা দরকার ছিল তাও সে করেনি। সে বিভিন্ন স্থানে বলছে, আমি চাবি আটকে রেখেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।

বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মো. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে ঢাকা যাওয়ার কথা আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।