আগুনে ঠাঁই হারানো শরণার্থীরা গ্রিক পুলিশের কাঁদানেগ্যাসের শিকার

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: গত বুধবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শরণার্থী শিবির পুড়ে ছারখার হওয়ার পর যেসব মানুষ ঠাঁই হারিয়েছেন তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে গ্রিসের পুলিশ। এসব শরণার্থী অস্থায়ী শরণার্থী শিবির নিয়ে বিক্ষোভ করার সময় কাঁদানে গ্যাসের শিকার হন। বিবিসি অনলাইনের শনিবারের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

গ্রিসের লেসবস দ্বীপে সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির মোরিয়ায় বুধবারের ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিবিসি জানাচ্ছে, ঘিঞ্জি সেই শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১৩ হাজার শরণার্থী ঠাঁই নিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের পর মোরিয়ার পাশেই গ্রিক কর্তৃপক্ষ একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির তৈরি করে। এ নিয়েই সংঘর্ষ বেধেছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, বুধবারের অগ্নিকাণ্ডের অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরের মাঠে-রাস্তায় আশ্রয় নেন এসব শরণার্থী। শনিবার তারা যখন ঘুমাচ্ছিলেন তখন ফের সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ওই স্থান ছাড়তে মরিয়া হন তারা। এ নিয়ে বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

মোরিয়া নামের ওই শরণার্থী শিবির প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার শরণার্থীর জন্য তৈরি করা হলেও সেখানে বাস ছিল ১৩ হাজার মানুষের। বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশের শরণার্থী ঠাঁই নিয়েছেন সেখানে; যাদের মধ্যে বেশিরভাগ আফগানিস্তানের। মূলত আফ্রিকার লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তারা সেখানে আটকা পড়েছেন।

ধারণক্ষমতার চারগুণেরও বেশি মানুষের বসতি মোরিয়া শরণার্থী শিবির আগুনে পুড়ে যাওয়ায় এসব শরণার্থীরা এখন হয়ে পড়েছেন আশ্রয়হীন। তারা রাস্তায়, মাঠে-ঘাটে শুয়ে ঘুমিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও তার পাশে নতুন শিবির তৈরি করতে দিচ্ছেন না।