বাড়ির মালিকের সহায়তায় ভাড়াটিয়া কিশোরীকে গণধর্ষণ

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার মাজুখান এলাকায় বাড়ির নারী মালিকের সহায়তায় ভাড়াটে এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে শনিবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পূবাইল থানায় মামলা করে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। রোববার তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে আদালতের বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেফতার দুই ধর্ষক হলেন টঙ্গী পূর্ব থানার ফকির মার্কেট এলাকার মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে আবু হানিফ (৪৬) ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর গ্রামের ইস্কান্দার আলী সরদারের ছেলে শাহ আলম (৩৭)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পূবাইল থানা পুলিশের এসআই জামিল উদ্দিন রাশেদ জানান, এতিম ওই কিশোরী দুই মাস আগে মাজুখানের সেলিনা বেগমের বাসা ভাড়া নিয়ে একটি টেইলার্সে কাজ করতো। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির মালিক সেলিনা জোরপূর্বক তাকে অন্য একটি রুমে ঢুকায়। আগে থেকেই আবু হানিফ ও শাহ আলম ওই রুমে অবস্থান করছিলেন। তারা রুমে দরজা আটকে জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে হানিফ ও শাহ আলম রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আরও দুজন পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শনিবার রাতে কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে ওই কিশোরী পূবাইল থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ আবু হানিফ ও শাহ আলমকে গ্রেফতার করে। তারা নাচ-গানের পেশায় জড়িত। নাচ-গানের সূত্র ধরে সম্পর্ক গড়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়ের শ্লীলতাহানি ঘটায় বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির মালিক সেলিনা মাদক ব্যবসায়ী। তার বাড়ির রুম তিনটি। দুটিতে দুই মেয়ে নিয়ে তিনি থাকতেন। একটি মাদক ব্যবসা ও সেবনের কাজে ব্যবহার করে। নির্যাতিতা অসহায় কিশোরী সেলিনার দুই মেয়ের সাথে থাকতো।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, বাড়ির মালিক সেলিনা খুব খারাপ প্রকৃতির নারী। অসহায় মেয়েটি না জেনে বুঝে সেলিনার বাসায় ভাড়াটে হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় সেলিনাসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছে ওই কিশোরী। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।