উপ-কমিটি গঠনে সতর্ক আওয়ামী লীগ

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয়ে কিছু ব্যক্তির বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সজাগ করে দিয়েছে দলটির নেতৃত্বকে। এমন অসাধু কেউ যেন কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে ঢুকে যেতে না পারে, সে বিষয়ে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করছে ক্ষমতাসীন দলটি। এমন অসাধুদের ঠেকানোর জন্য তো পদক্ষেপ থাকছেই, পাশাপাশি দলীয় আদর্শবিরোধী কাউকে উপ-কমিটিতে নিতে যিনি ভূমিকা রাখবেন, তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

করোনা চিকিৎসায় জালিয়াতির কারণে গ্রেফতার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ নিজেকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বলে পরিচয় দিতেন। এছাড়া শামীমা নূর পাপিয়াসহ কয়েকজন নানা অপকর্মের কারণে গ্রেফতার হয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ-পদবি বাগিয়ে দাপটের সঙ্গে চলতেন। দলীয় পরিচয়ে এমন কেউ যেন আর অপকর্ম চালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্যই নড়েচড়ে বসেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।

দলটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ১৯টি উপ-কমিটিতে বিতর্কমুক্ত, কর্মঠ ও দলীয় আদর্শের প্রতি আনুগত্যশীলদের স্থান দেয়া হবে। যাদের কাজ করার ইচ্ছা আছে এবং দল, দেশ ও জাতির জন্য যাদের অবদান রাখার যোগ্যতা আছে, শুধু তাদেরই উপ-কমিটিতে নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, উপ-কমিটিতে যদি আদর্শবিরোধী কোনো মানুষ ঢোকে বা কেউ ঢোকান, তাহলে এবার তাদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা বলব। যারা সাবেক ছাত্রনেতা, যাদের মেধা, শ্রম ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, তাদের সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে হবে।’

দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগে ঢুকে দলের নাম ভাঙিয়ে চলে, তারা তো প্রতারক; তারা বাটপার, চরিত্রহীন। তাদের কোনো আদর্শ নেই। তাদের কোনো নীতি নেই। তাদের আর যাই হোক, জাতির পিতার সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে কোনো জায়গা নেই, তাদের কোনো প্রয়োজন নেই।’

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘উপ-কমিটিতে যেন ত্যাগী, পরীক্ষিত, যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যাদের ইমেজ ভালো, যারা সংগঠনে বিভিন্নভাবে অবদান রাখতে পারবে— এ ধরনের মানুষদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা) নির্দেশ দিয়েছেন।’

দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কমিটিকে বিতর্কমুক্ত রাখতে এই সুযোগ সন্ধানীদের ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। সব সম্পাদকই এ ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন। ফাঁকিবাজদের বাদ দিয়ে যারা কর্মঠ এবং কাজ করতে চায়, আমরা তাদের সুযোগ দেব।