বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তিতে অতিরিক্ত আদায় ১৫ লাখ টাকা

শেয়ার করুনঃ

বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ভর্তিতে পরিপত্রের দোহাই দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টবার থেকে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। জনতা ব্যাংক বাকেরগঞ্জ শাখায় কলেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কলেজের স্লিপে বিজ্ঞান বিভাগে ২৪৯৫ টাকা, বাণিজ্যিক ও মানবিক বিভাগে ২৪৪৫ টাকা করে জমা নেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫শ’ ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি ২০২০-২১ একাদশ শ্রেণীর ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী একাদশ শ্রেণীর ভর্তি ফি নিতে হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা শহরের বেসরকারি কলেজে ১ হাজার টাকা নেয়ার বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, মূলত বেসরকারি কলেজের লাগাম টানতে এ নীতিমালা করা হয়েছে। ইতিপূর্বে বেশ কিছু বেসকারি কলেজ ভর্তি সময় অতিরিক্ত টাকার নেয়ার অভিযোগ আছে। যার ফলে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি প্রতি বছর একটি নীতিমালা করে দেন। তবে সরকারি কলেজে বেসরকারি কলেজের চেয়ে বেশি নেয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে করোনাভাইরাসে বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ভর্তির ২৫শ’ টাকা জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একাধিক অভিভাবক বলেন, বর্তমান সময় খেয়ে থাকতে যেখানে কষ্ট হচ্ছে সেখানে একটি সরকারি কলেজে এতগুলো টাকা ভর্তিতে দিতে হচ্ছে; তাও ব্যাংকের মাধ্যমে নেয়ায় কম দেয়ার কোনো সুযোগও থাকছে না।

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, সরকারি পরিপত্রে যা আছে সে অনুযায়ী টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিপত্রের দোহাই দিয়ে যে ২৬টি খাতে টাকা নিচ্ছে তা কলেজ বন্ধ থাকায় বেশিরভাগই অর্থহীন বলে মনে করেন অভিভাবক মহল। ওই খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২০ গ্রন্থাগার ফিস, বিজ্ঞানাগার ফিস, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার ফিস, উন্নয়ন ফিস, আইসিটি ফিস, চিকিৎসাসেবা তহবিল, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ফিস। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, করোনাকালীন কলেজ বন্ধ থাকার পরেও একইভাবে ২৬টি খাদে টাকা নেয়ার কোনো যুক্তি নেই। কলেজ বন্ধ থাকার কারণে এর মধ্যে কিছু খাত আছে, যা একেবারেই অহেতুক।

জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিপত্র অনুযায়ী টাকা নেয়া হচ্ছে। এখানে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। প্রয়োজন হলে কলেজে এসে পরিপত্র দেখে যেতে পারেন।

-যুগান্তর