পিরোজপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দু’গ্রুপে সংর্ঘষে আহত ২০

শেয়ার করুনঃ

পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের নাজিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়গ্রুপের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার হাসপাতাল ব্রিজের ঢালের বুইচাকাঠী টেম্পু স্ট্যন্ডের এই সংঘাতে ভাঙচুর করা হয়েছে ১৪টি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করলেও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীরামকাঠী বন্দরের সোনালী ব্যাংকের সামনের একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠুর নেতৃত্বে ৫-৬ জন যুবলীগ কর্মী ছাত্রলীগ নেতা নুরে আলম প্রিয়ংকার ওপর হামলা করে। এসময় তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় স্মরণ শিকদার (১৮) ও তারেক জামিল তাজ (১৯)। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা শ্রীরামাকাঠী বন্দরের পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।

এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপসের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিঠুসহ তার লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা করে। এসময় উভয়গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো শহরজুড়ে এক উত্তপ্তকর পরিবেশ বিরাজ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়গ্রুপের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে করে।

এর আগে পাল্টা পাল্টি হামলায় তারেক জামিল রানা তাজ (১৯), রাজিব শেখ (১৮), মানবিন্দু মিস্ত্রী (১৮), রানা বিশ্বাস (১৮), মধু খান (৩২), বেল্লাল হাওলাদার (১৯), রানা হাওলাদার (২২), হৃদয় খান (১৬), হৃদয় মোল্লা (১৬), মিলন (৩৪), কাওছার মৃধা (২২), বাপ্পি খান (৩৫), রায়হান সর্দার (১৮), মিরাজ মৃধা (১৭), প্রিন্স হাওলাদার (১৯), নুরুল আমীন (২৫), নয়ন ফরাজী (২০), জোবায়ের হিমেল (২৫), শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম প্রিয়ংকা (২৫), স্মরন শিকদার (১৮) এবং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবসহ (২০) উভয়গ্রুপের ২০জন আহত হয়েছেন।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিঠু বলছেন, গত বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) ছাত্রলীগ কর্মীরা দক্ষিণ শ্রীরামাকাঠীর একটি জমি দখল করিয়ে দিতে সেখানে যায়। এ নিয়ে স্থানীয়রা তাদের মারধর করা হলে সেই ঘটনাকে আমাদের দায়ী করে উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক তাপস চৌধুরী। সেই আক্রোশের সূত্র ধরেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে উল্টো অভিযোগ আনেন, ছাত্রলীগ নেতা তাপসের বিরুদ্ধে।

পাল্টাপাল্টি হামলার কারণ কি এ সংক্রান্তে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম মুনির তাৎক্ষণিক ভাবে কোন মন্তব্য না করলেও আভাস দিয়েছেন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমনটি হতে পারে। সংঘাতের পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেছে। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’