মিশু সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি ::: পটুয়াখালীর বাউফলে একজন সাংবাদিককে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ৭ ডিসেম্বর এসংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে গত সোমবার (০৫/১২/২২) রাত ৮টার দিকে ভুক্তভুগী সাংবাদিক বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাউফলে ‘প্রেসক্লাব বাউফল’ নামের একটি বিতর্কিত সাংবাদিক সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই সংগঠনে দৈনিক আজকের সুন্দরবন পত্রিকার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি নুরুল আমিন আজাদীকে (৩৫) তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এঘটনায় নুরুল আমিন গত ১৫ নভেম্বর ২২ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজেকে বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী সদস্য দাবি করেন এবং অন্য কোন সংগঠনের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বিতর্কিত সংগঠন ‘প্রেসক্লাব বাউফল’র সভাপতি আরিফুজ্জামান খাঁন রিয়াদ (৪০) (স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক যুগান্তর, বাউফল) তাকে (নুরুল আমিন) ৫ ডিসেম্বর দুপুর ১টার দিকে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এঘটনায় বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (২৩১,তাং-০৫.১২.২২) করা হয়েছে। এসংক্রান্ত একটি ভাইরাল হলে ওই অডিওতে রিয়াদকে বলতে শোনা যায়, ‘তোর সাহস কি করে হয় ফেসবুকে স্টাটাস দাও? এত সাহস তোকে কে দিছে? তুই বাউফল আসবি কবে? আমি তোর বাড়ি অসলে তোর কানসা (কান) ফাডাইয়া দিমু। ওই অডিওতে তাকে প্রকাশ অনুপযোগী আরও কিছু অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে শোনা যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরিফুজ্জামান খাঁন রিয়াদ বলেন, ‘আমি তার (নুরুল আমিন) সাথে কোন কথা বলিনি। আমার সাথে যাদের রাজনৈতিক ও পারিবারিক ভাবে শত্রুতা রয়েছে তারা এই কল রেকর্ড এডিট করে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়েছে।’
এব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘জিডি করা হয়েছে। জিডির কপি আমরা কোর্টে পাঠিয়েছি। কোর্ট থেকে অনুমতি পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
