বরিশালে আ.লীগ নেতাকে মিষ্টি খাওয়ানোয় মহানগর মহিলা দল সভাপতিকে শোকজ

শেয়ার করুনঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ হলেও এখনো হার্ডলাইনে বরিশাল বিএনপি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার পর এবার নির্বাচনে জয়ীদের সাথে উল্লাস দেখানো নেতাকর্মীদের শনাক্তে কাজ করছে স্থানীয় মনিটরিং টিম।

কাউন্সিলর হিসেবে জয়ী আওয়ামী লীগ নেতাকে মিষ্টিমুখ করানোয় রোববার (১৮ জুন) দুপুরে বরিশাল মহানগর মহিলা দলের সভাপতি ফারহানা ইয়াসমিন তিথিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মহিলা দল।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে বিজয়ী হলে তাকে মিষ্টিমুখ করান তিথি।

তিথিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার বিষয়টি সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে নিশ্চিত করে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘নির্বাচনের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি হার্ডলাইনে রয়েছে। যেখানে আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি সেখানে নির্বাচনের সাথে কেউ যেকোনোভাবে সম্পৃক্ত হলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা আমাদের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি আর যারা আমাদের আওতায় নেই তাদের বিষয়ে কেন্দ্রকে অবহিত করা হচ্ছে। সেইসাথে প্রমাণাদি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির বহিষ্কৃত ১৯ প্রার্থীর পর নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া এক ডজন নেতাকর্মীর তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জেলা যুবদলের সভাপতি এ এইচ এম তছলিম উদ্দিন, তার বড় ভাই জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আহমেদ বাবলু ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মহানগর বিএনপির ১ নম্বর সদস্য আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম, তিনি নিজে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও তার স্ত্রী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান পিন্টু ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পক্ষ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

শোকজের বিষয়ে মহানগর মহিলা দলের সভাপতি ফারহানা ইয়াসমিন তিথি বলেন, ‘আমি যে ওয়ার্ডে থাকি সেখানে ক্ষমতাশীনরা খুব প্রভাবশালী। তাদের চাপে বাধ্য হয়ে মিষ্টি খাওয়ানোর অনুষ্ঠানে যেতে হয়েছে।’ নোটিশের লিখিত জবাব দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ন্যূনতম যোগাযোগ রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আমি মনে করি, কেন্দ্র সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।