বরগুনায় খোলা পায়খানা বন্ধ করতে বলায় সংঘর্ষ, ৮ নারী আহত

শেয়ার করুনঃ

বরগুনা প্রতিনিধি:: বরগুনার আমতলীতে খোলা পায়খানা বন্ধ করতে বলায় দু’বাড়ির নারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ নারী আহত হয়েছে। আহতদের আমতলী ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারে ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমড়াগাছিয়া বাজারে ‘স’ মিল মালিক আব্দুল খালেক সরদারের বাড়িতে একটি খোলা পায়খানা রয়েছে। ওই খোলা পায়খানায় তার ‘স’ মিলের কর্মচারীরা মলমূত্র ত্যাগ করেন। ওই খোলা পায়খানার কারণে সোহরাফ সরদারের বাড়িতে গত ১০ দিন ধরে ডায়েরিয়া লেগেই আছে। শুক্রবার সকালে ওই খোলা পায়খানা বন্ধ করতে বলেন সোহরাফ সরদারের স্ত্রী শিউলি বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হন আব্দুল খালেক সরদারের স্ত্রী রুনা বেগম। এ নিয়ে শিউলী ও রুনা বেগমের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই দুই বাড়ির নারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের আট নারী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হন রুনা বেগম (৪০), পপি আক্তার (১৭), শিউলি (৩৫), রিনা (২৮) ও লিপিকে (২০) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আমতলী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোসা: মার্জিয়া তাজিন গুরুতর আহত রুনা ও পপিকে সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহত রুনার স্বামী আব্দুল খালেক সরদার বলেন, অহেতুক সোহরাফ সরদার ও তার স্ত্রী আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে মারধর করেছে।

আহত শিউলি বেগমের স্বামী সোহরাফ সরদার বলেন, খোলা পায়খানা বন্ধ করতে বলায় খালেক সরদারের স্ত্রী রুনা বেগম ও তার মেয়েরা আমার স্ত্রীসহ পাঁচজনকে মারধর করেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মার্জিয়া তাজিন বলেন, গুরুতর আহত দু’জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’