পটুয়াখালীতে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর ভাংচুর ও সড়ক অবরোধ, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

শেয়ার করুনঃ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল, ভাংচুর ও সড়ক অবরোধে শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বর্তমানে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিপুল পরিমান দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে এমপি সমর্থকরা জনতা ভবন থেকে দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা হাতে শহরে গোলাবাড়ী পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে হাইস্কুল মার্কেট, রেজিস্ট্রি অফিস এলাকা ও বাজারের দোকান পাটে হামলা ও ভাংচুর করে। থানার সামনের সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীদের দেড়ঘন্টাব্যাপী তান্ডবে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থক উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে আ.স.ম ফিরোজ এমপি সমর্থকরা তাতে বাঁধা দেয়। এনিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ফুলের তোড়া ছুড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মেয়র সমর্থক ছাত্রলীগ কর্মীরা রবিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্ত দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (একাংশ) ইব্রাহিম ফারুক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্য আহত বাউফল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ রানা (২৫), মো. আরিফ (২২), মো. সিদ্দিকুল্লাহ (৪৫), মো. মেহেদী (২৭) কে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন একটু বেশী আহত। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।