চরফ্যাশনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি :: ভোলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৯ মার্চ সোমবার দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মাঝি বাড়িতে এঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) অভিযোগকারী আবুল হোসেনের ছেলে চিকিৎসাধীন জহিরুল ইসলাম বলেন, পবিত্র শবে বরাতের রাত ১টার সময় ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদ প্রার্থী মুসা কালিমুল্লাহ’র নির্বাচন না করে অন্য প্রার্থীর নির্বাচনে প্রচারণা করায় মুসা তাঁর লোকজন দিয়ে গত কিছুদিন পূর্বে তাঁর নির্বাচন করার জন্য ১০হাজার টাকা দিবে বলে প্রস্তাব দিলে আমি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেই। যার ফলে মুসার সমর্থকরা একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল শিকদারের ছেলে কামাল, কালু রাঢ়ীর ছেলে আলাউদ্দিন, জসিম ও জাহের হাওলাদারসহ তাঁর ছেলে জুয়েল এবং মেহেদী হাসানের স্ত্রী আসমা, খোকনের স্ত্রী নুপুর, জাহেরের স্ত্রী মাসুমা সহ আরও ৭ থেকে ৮ জন মিলে পরিকল্পীতভাবে আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমাকে মারধর ও দেশিও অস্ত্র দা ও সেনি দিয়ে কুপিয়ে জখম ও এসএস পাইপ এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এসময় কামাল, আলাউদ্দিন ও জাহেরসহ অন্যান্যরা মিলে আমাকে আমার খাট থেকে টেনে হিচরে বাড়ির দরজায় নিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম ডাক চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয় প্রতিবেশিরা চোর চোর বলে ডাক চিৎকার দিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে কামাল, আলাউদ্দিনসহ অন্যান্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়। জহিরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন আমি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে আমার স্বামীকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য প্রার্থী মুসা কালিমুল্লাহ জানান, ওই দিন রাতে আমি ব্যক্তিগত কাজে শশীভূষণ থানায় রাত ২টা পর্যন্ত ছিলাম। থানায় ঘটনার দিন রাতে এসআই কমলেশ সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান বলেও দাবি করেন তিনি। তবে এসআই কমলেশ মুঠোফোনে জানান ওইদিন রাতে এরকম কোনো ব্যক্তি ছিলেন না।

অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।