সরকারি ঘরের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করলেন আ.লীগ নেতা!

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি মেম্বার আঙ্গুর মিয়া সরকারি ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে প্রবাসীর ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবের গাঁও গ্রামের প্রবাসী আব্দুল বাতিরের বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আঙ্গুর মিয়ার হিন্দু এক তরুণীকে সরকারি ঘর দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত রোববার দুপুরে দেবের গাঁও গ্রামের প্রবাসী আব্দুল বাতিরের বসতঘরে নিয়ে আসেন। সেখানে আটকে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন ইউপি সদস্য। এ সময় ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে ঘটনাস্থল থেকে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।

এ ব্যাপারে প্রবাসী বাতির আলী স্ত্রী আমিরুন নেছা সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার দুপুরে আঙ্গুর মেম্বার তার বাড়িতে এসে বলেন তোমার স্বামীর ভোটার সিলিপ দাও, আমি দেই, সিলিপ দিয়ে আমি বসতঘর পরিষ্কারের কাজে চলে যাই। পরে দেখি আমার একটি রুমে দরজার ভিতরে লক করা ভিতরে মানুষ আছে। আমি ডাকাডাকির প্রায় ১ ঘণ্টা পর মেম্বার দরজা খুলেছেন।

এ সময় তার পাশের বাড়ির দুই যুবক উপস্থিত ছিলেন। দরজা খোলার পর ওই তরুণীকে রেখে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার আঙ্গুর মিয়া কৌশলে পালিয়ে যান। আঙ্গুর মিয়া মেম্বার এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা কাউকে না বলতে হুমকি দিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আঙ্গুর মিয়া তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন একটি চক্র।

ছাতক থানা পুলিশের ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’