ধর্ষণে জন্ম নেয়া প্রতিবন্ধী কিশোরীর সন্তানের পিতৃপরিচয় অনিশ্চিত

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণে জন্ম নেয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীর সন্তানের পিতৃপরিচয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই সন্দেহভাজন ধর্ষকের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্ত এ ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন শিশুটির সঙ্গে মিলছে না। ফলে এ মামলার তদন্ত ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে থানা পুলিশ পড়েছে বিপাকে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি মেয়েটির বাবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করতে যান ও মা যান পাশের বাড়িতে। এ সুযোগে প্রতিবেশী বিদ্যুত হোসেন মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখায় বিদ্যুৎ। এ কারণে মেয়েটি এ বিষয়টি প্রকাশ করেনি। কিছুদিন পর মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে মা-বাবা তাকে জিজ্ঞাস করলে ধর্ষণের বিষয়টি সামনে আসে। পরে চিকিৎসকের কাছে নিলে মা-বাবা জানতে পারেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা করেন। মামলার পর একমাত্র আসামি বিদ্যুৎকে একইদিন পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে যশোর সেভ হোমে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১১ অক্টোবর ঢাকা সিআইডির সদর দফতরে তার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। এ অবস্থায় ২৭ নভেম্বর মেয়েটি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণে জন্ম নেয়া প্রতিবন্ধীর সন্তানের পিতৃপরিচয় শনাক্ত করতে বিদ্যুতের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্ত তার এর সঙ্গে শিশুটির ডিএনএ মিলছে না।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী এরপর আরো কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রতিবন্ধীর সন্তানের পিতৃপরিচয় জানার আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।