ভোলায় একমাত্র আয়ের উৎস বোরাক চুরিতে দিশেহারা প্রতিবন্ধী যুবক

শেয়ার করুনঃ

ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলায় বিভিন্ন বেসরকারি (এনজিও) সংস্থার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে অর্থ নিয়ে বোরাক কিনেছিলেন প্রতিবন্ধী ত্রিশোর্ধ্ব মিজানুর রহমান। তার আয়ের একমাত্র উৎসটি গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জাকালু গ্রামের এই যুবক।

প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ২০০৭ সালের দিকে ধান মাড়াই করার সময় হঠাৎ মেশিংয়ে ডান হাত কেটে যায় তার। পরে ভোলা, বরিশাল ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জমি-জমা ও জমানো টাকাসহ হারিয়েছেন অনেক কিছু। তবে এতোকিছুর পরেও কারও কাছে হাত পাতেননি তিনি। সংসারের সবার মুখে খাবার তুলে দিতে বোরাক চালানো শেখেন তিনি। প্রায় দেড় বছর আগে একটি এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে একটি বোরাক কেনেন। এক হাত দিয়ে বোরাক চালিয়ে ঋণ-দেনা ও সংসার চালাচ্ছিলেন মির্জাকালু গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিনের ছেলে মিজানুর রহমান। ২ মাস আগে বোরাকের ব্যাটারিটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবারও এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে ব্যাটারি কেনেন।

যুবক আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনি ৫০০ টাকা ভাড়ায় একটি রোগী নিয়ে ভোলা অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। রোগীকে নামিয়ে ওই ডায়াগনস্টিকের সামনের রাস্তায় বোরাকটি রেখে তিনি আড়াইটার দিকে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এসে দেখেন বোরাকটি নেই।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মিজানুরের বোরাকটি রাস্তায় দাঁড় করানো ছিল। প্রথমে প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা এক যুবক এসে বোরাকের ভেতরে বসে চাবির লকের তার কেটে দেয়। পরে আরেকজন লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা যুবক বোরাকটি চালিয়ে নিয়ে যান।

ভোলা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধী যুবক থানায় অভিযোগ করেছেন। বোরাকটি উদ্ধারের জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।’