হেফাজতের প্রস্তাবিত কমিটিতে ছিলেন বরিশালের মাওলানা মাহবুব, মূল কমিটিতে নেই!

শেয়ার করুনঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কেন্দ্রীয় প্রস্তাবিত কমিটিতে বরিশালের বাসিন্দা মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুবকে রাখা হলেও মূল কমিটি থেকে নিজেকে সড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। তাকে এই কমিটির নায়েবে আমির করার প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন হয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। কিন্তু তার অসঙ্গতির জন্য মূল কমিটি থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ধোয়াশা তৈরী হয়েছিলো গণমাধ্যম গুলোতে।

বুধবার বিকেলে কমিটিতে থেকে নিজেকে সড়িয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব বলেন, প্রস্তাবিত কমিটিতে নায়েবে আমির হিসেবে আমার নাম রাখা হয়েছিল। আমি হেফাজত ইসলামের কমিটিতে থাকতে আগ্রহী নই, সেজন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বলে মূল কমিটি থেকে সড়ে এসেছি। আর এটি নিয়ে কয়েকটি পত্রিকা বিব্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাদপত্রের সেই ধোয়াশা কাটাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব বরিশাল শহরের বেলতলার আল জামিয়া ইসলামিয়া মাহমুদিয়া মাদ্রাসার পরিচালক এবং তিনি ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের (চরমোনাই) রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি ওই দল থেকে অংশ নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৭ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তায় মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করে হেফাজত ইসলাম। এতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে কমিটির আহ্বায়ক এবং নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব ঘোষণা করা হয়। এছাড়া হেফাজতের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে মো. ইউসুফকেও রাখা হয়েছে।

২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি গড়ে তোলেন কওমি মাদরাসাকেন্দ্রিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব শাহ আহমদ শফী।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর আহমদ শফী মারা যান। এরপর ১৫ নভেম্বর প্রতিনিধি সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলামের ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমির নির্বাচিত হন আগের কমিটির মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী। আর নতুন মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন নূর হোসাইন কাসেমী, যিনি গত ১৩ ডিসেম্বর মারা যান।