যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রচুক্তি স্থগিত করলো রাশিয়া

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক ::: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অবশিষ্ট একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সিদ্ধান্ত জানান।

জানা যায়, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখনও স্নায়ুযুদ্ধের পর অবশিষ্ট পারমাণবিক অস্ত্রের বিশাল অস্ত্রাগার রয়েছে। ২০১০ সালে ‘দ্য নিউ স্টার্ট’ চুক্তির মাধ্যমে এসব অস্ত্রের সংখ্যা ও ব্যবহার সীমিত করা হয়। চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনই তা স্থগিত করলো রাশিয়া।

মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ওই ভাষণে পুতিন বলেন, আজ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস চুক্তি রয়েছে, তা স্থগিত ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি। তার দাবি, ওয়াশিংটন পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তাই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও পারমাণবিক কর্পোরেশনের উচিত রুশ পারমাণবিক অস্ত্রগুলোর পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া।

পুতিন আরও বলেন, আমরা কখনোই প্রথমে এ পরীক্ষা চালাবো না। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি পরীক্ষা চালায়, তবে রাশিয়া বসে থাকবে না। একই সঙ্গে আরেকটি কথা বলতে চাই, কেউ যাতে এটা না ভাবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি স্থাপনের ফলে আন্তর্জাতিক কৌশলগত সমতা নষ্ট হয়ে যাবে।

নিউ স্টার্ট চুক্তি উভয়পক্ষকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ও ভারী বোমারু বিমানগুলোতে ওয়ারহেড বহনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা মেনে চলতে বাধ্য করে। ২০১৮ সালের মধ্যে দু’দেশেই চুক্তিটির কেন্দ্রীয় সীমা পূরণ করেছে।

এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট একটি আঞ্চলিক যুদ্ধকে বিশ্বযুদ্ধে রূপান্তর করতে চায়। আমরা তাদের এ পরিকল্পনা আগেই বুঝতে পেরেছি ও সে অনুযায়ী আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবো। কারণ, তাদের ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে রাশিয়ার অস্তিত্ব জড়িয়ে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়াকে পরাজিত করা অসম্ভব। তাছাড়া অধিকাংশ রুশ নাগরিক এ যুদ্ধকে সমর্থন করেছেন। তাই আমরা কোনোভাবেই পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের সামনে মাথা নত করবো না। রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স