ভোলায় মৎস্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা: দুই প্রতারক গ্রেপ্তার

শেয়ার করুনঃ

ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলার দৌলতখানে মেঘনায় মাছ শিকার করা জেলেদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। ওই দুই প্রতারক নিজেদের মৎস্য অফিসার ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানান। এসময় তাদের কাছ থেকে আমার পত্রিকা ও জেটিভির প্রেসকার্ড উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় উপজেলার মেদুয়ার মুন্সির হাট বাজারে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার চরশুভী গ্রামের মো: ইউসুফের ছেলে মো: ইব্রাহীম রাসেল এবং ভোলা পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (পৌর কাঠালী) মো: আলমের ছেলে মো: আজাদ হোসেন।

পুলিশ, মৎস্য দফতর ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধার পর থেকে রাত নয়টা নাগাদ আটক ব্যক্তিরা মেদুয়ার মুন্সির হাট এলাকায় একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে মেঘনায় অভিযানে নামেন। এ সময় নদীতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে যেসব জেলেরা মাছ ধরছিল তাদের কাছ থেকে নিজেদেরকে মৎস্য অফিসার ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করছিলেন।

পরে মুন্সির হাট মাছ ঘাটের মাছ ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হলে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে এদের আটক করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইনকে খবর দেন। তিনি দ্রুত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যান। এদের বিরুদ্ধে গত এক মাসে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মেঘনার অভয়াশ্রমে পেটের দায়ে গোপনে মাছ শিকারে নামা জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দৌলতখানের বিভিন্ন মাছ ঘাটের ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানান, আটক ব্যক্তিরা মেঘনায় ১ মার্চ থেকে মাছ শিকারের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মৎস্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাছ ব্যবসায়ী ও জেলেদের কাছ থেকে কয়েক লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন বলেন, প্রতারণা ও চাঁদাবাজির দায়ে তাদেরকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হবে।

এ ব্যাপারে ওসি মো: জাকির হোসেন আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় তার দফতরে এক প্রেস ব্রিফকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আটক ব্যক্তিরা নিজেদেরকে মৎস্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি করতো বলে স্থানীয়রা জানান। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ছাড়া একই অপরাধে জড়িত কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধেও স্থানীয়দের অভিযোগ আছে। আমরা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।’