পিরোজপুরে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দেখতে না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর

শেয়ার করুনঃ

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের কাউখালীতে পরীক্ষার আগে প্রাথমিকের মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখতে না দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার আগের দিন গত ১৬ মে বিকেলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে যান। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজ ওই প্রশ্নপত্র দেখতে চান। নাদিরা কানিজের মেয়ে একই বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে বিধায় তিনি প্রশ্ন দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন নাদিরা কানিজ। পরদিন ১৭ মে পরীক্ষা শুরুর আগেই তাঁর মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তির জন্য ছাড়পত্র দাবি করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত আবেদন করলেও টিসি না দেওয়ায় নাদিরা আরও ক্ষুব্ধ হন। পরীক্ষা শেষে ওই দিন বিকেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ পালের ওপর শিক্ষিকার স্বামী মনিরুজ্জামান হামলা চালান বলে অভিযোগ করা হয়।

প্রধান শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ পাল বলেন, সেদিন বিকেলে বাড়ির সামনে নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে নাদিরা কানিজের স্বামী মনিরুজ্জামান তাঁর ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁর ডাক-চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে কাউখালী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি কাউখালী থানা ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজ বলেন, ‘আপনার এত কিছু জানার কী দরকার? ফোনে কথা বলা যাবে না। আমি ব্যস্ত আছি। এই কথা বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, ওই শিক্ষিকা প্রশ্নপত্র দেখতে চেয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহের নিগার সুলতানা বলেন, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।