বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে রোগীদের রান্না

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক ::: খোলা অবস্থায় রেখে দেয়া ভাতের পাশেই চলছে ঝাড়ু দেয়ার কাজ। উড়ছে ময়লা, চলছে মাংস কাটাকুটি। আশপাশে অবাধ বিচরণ ইঁদুর, বিড়ালের। রান্নাঘরের মেঝে, রান্নার পাত্র পরিষ্কার তো দূরে থাক, খালি চোখেই দেখা যায় পোকাযুক্ত পানি দিয়ে চলছে রান্নার কাজ। ভয়াবহ আর নোংরা পরিবেশের এই চিত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের রান্নাঘরের। এসব খাবারই পরিবেশন করা হয় এই হাসপাতালের রোগীদের মাঝে।

শেবাচিম হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের জন্য নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ অনেক দিন থেকেই। জনবল সংকটের অজুহাত দেখিয়ে রান্নাঘরের নোংরা পরিবেশ নিয়ে সরল স্বীকারোক্তি বাবুর্চিদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর ঠিকাদারদের সঙ্গে ভাগ-বাঁটোয়ারায় খাবারের মান বৃদ্ধি হয় না বলে ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের। তবে খাবারের মান ভালো বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা স্বীকার করে এ কাজে নিয়োজিতরা জানান, দুই হাজার মানুষের রান্নায় নিয়োজিত আছেন মাত্র ২০ জন। প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করে জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ থাকে না বলে দাবি তাদের।

খাবার প্রদানের ঠিকাদারের সহযোগী মোহাম্মদ জাবেদ হাসান বলেন, ঠিকাদারের কাজ শুধু লোক অনুযায়ী বাজার করে দেয়া। রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

শেবাচিম হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখি। তারপরও যদি কোথাও কোনো সমস্যা থাকে দ্রুত সমাধান করা হবে।’

খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনেকেই বাইরে থেকে খাবার আনেন। তবে আর্থিকভাবে অসচ্ছল রোগীরা বাধ্য হয়েই এসব খাচ্ছেন বলে জানান।

রোগীরা জানান, মেডিকেল থেকে দেয়া কোনো খাবারই খাওয়া যায় না। যা দেয়া হয় সবকিছুই নিম্নমানের ও খাবার অনুপযোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাতে এদিকে খেয়াল রাখে সে দাবিও জানান তারা।

মাথাপিছু ১২৫ টাকা থেকে এখন ১৭৫ টাকা করা হয়েছে জানিয়ে খাবারের মান ভালো করার দাবি করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতায় নজরদারি বাড়ানোর কথা জানান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান।