পিরোজপুরে বোনের ভাশুরকে কুপিয়ে জখম, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

শেয়ার করুনঃ

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ছোট বোনের ভাশুর মিজানুর রহমান নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ইব্রাহীম খানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে উপজেলা পরিষদ সড়কে জাতীয় পার্টির (জেপি) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার রাতেই আহত মিজানুরের মা ফরিদা বেগম বাদি হয়ে মামলা করেন। পরে ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইব্রাহীম খান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও ইব্রাহীমের বাবা আ. কাদের খানকে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত মিজানুর রহমানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে মিজানুর রহমানের ছোট ভাই আলী হোসেনের সঙ্গে ইব্রাহীমের ছোট বোন কারিমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বিয়ের বিষয়টি মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি। সম্প্রতি অসুস্থ মাকে দেখতে আসেন কারিমা। বোনকে বাড়িতে দেখে ক্ষুব্ধ হন ইব্রাহীম। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে বোনের ভাশুর মিজানুরের সঙ্গে দেখা হয় ইব্রাহীমের। তখন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ইব্রাহীম। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর একপর্যায় ইব্রাহীম চাকু দিয়ে মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় ইব্রাহীমের বাবা কাদের খানও তাকে মারধর করেন।

আহত মিজানুর রহমানের বড় ভাই মনির হোসেন জানান, আমার ছোট ভাই আলী হোসেনের সঙ্গে কারিমার বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ইব্রাহীম। এর জেরে তিনি মিজানুরকে কুপিয়ে জখম করেছেন।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, আহত মিজানুর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইব্রাহীম খান ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ইব্রাহীমকে আজ (শনিবার) আদালতে পাঠানো হবে।