ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন- ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার মাধ্যমে নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠ ও নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন বিরোধী দলীয় সরকার প্রধান শেখ হাসিনার দাবী ছিলো তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবো না, জনগণ তা মানবে না। এ দাবীতে তিনি আন্দোলন সংগ্রামও করেছিলেন। এখন সেই শেখ হাসিনাই দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে ভোট ডাকাতি করছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ভোট চোর- ভোট ডাকাতের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবো না। নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপি যদি কলাগাছকেও মনোনয়ন দিয়ে দাড় করায়। সেও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। এরপরও যদি তারা নির্বাচন করতে চায়, তা প্রতিহত করা হবে। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে।
শনিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একজন স্বশিক্ষিত মহিলার কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজয় বরণ করেছে। এটাই প্রমাণ করে, এই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। ইভিএম দিয়ে যদি কারচুপি না করতো, তাহলে ওই মহিলার কাছে বিপুল ভোটে পরাজয় জাতি জানতে পারত।
জনসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন।
তিনি বলেন, সরকার এখন বলে, তাকে আমেরিকা আর চায় না। শুধু আমেরিকা নয়, কেউই আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ভোট চুরি করে তারা বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছে। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে তারা ভোট চোরের দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান, ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টো, বরিশাল মহানগর যুবদল সভাপতি তছলিম উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ পিপলু, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের।
